‘পড়ে থাকা জিনিসপত্র থেকে সার্বিয়ার সাত বছরের শিশু উইম্বলডনের ট্রফির রেপ্লিকা তৈরি করত। আজ তার তাতেই উইম্বলডনের আসল ষষ্ঠ শিরোপা…এটা বিশেষ অনুভূতি।’ - শিরোপা জেতার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এভাবেই নিজের কথা বলছিলেন টেনিসের এক নম্বর র্যাংকিংধারী নোভাক জোকোভিচ।
বড় হয়ে টেনিস খেলার স্বপ্ন দেখতেন জোকোভিচ। স্বপ্নটা এতটাই বড় ছিল যে, আশেপাশে যা পেতেন সেগুলো কুড়িয়ে রেপ্লিকা ট্রফি তৈরি করতেন। রেপ্লিকা সেই ট্রফিগুলো তার টেনিস খেলোয়াড় হওয়ার ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়।
আজ সেই জোকোভিচ জীবনের নানা মোড় পেরিয়ে জিতেছেন ষষ্ঠ উইম্বলডন শিরোপা। গড়েছেন ইতিহাস। ২০টি গ্র্যান্ড স্লাম জিতে রজার ফেদেরার ও রাফায়েল নাদালের পাশে নাম লিখিয়েছেন। আর মাত্র একটি শিরোপা জিতলেই তিনি হয়ে যাবেন ‘নাম্বার ওয়ান’।
এর আগে ২০১১, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৮ ও ২০১৯ সালের উইম্বলডন জিতেছিলেন জোকোভিচ। মর্যাদার এ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতায় তার উপরে রয়েছেন পিট স্যাম্প্রাস (৭), উইলিয়াম রেনশ (৭) ও ফেদেরার (৮)। তার বিশ্বাস উইম্বলডনে একদিন সবাইকে ছাড়িয়ে যাবেন, ‘উইম্বলডন জেতা সব সময়ই বিশেষ কিছু। ছোট থাকতে এ শিরোপা জয়ের চিন্তা ছাড়া কিছু মাথায় আসত না। আজ আমার কাছে ছয়টি শিরোপা। আশা করছি একদিন সবাইকে ছাড়িয়ে যাব।’
জোকোভিচ ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জয় করেন। তার থেকে ৬ বছরের বড় সুইস তারকা ফেদেরারের কাছে তখন ১২ গ্ল্যান্ড স্লাম। ২০১০ সালে জোকোভিচের শিরোপা একটি তখন ফেদেরারের শিরোপা ১৬টি। পরের ১১ বছরে ফেদেরার জিতেছেন ৪টি গ্ল্যান্ড স্লাম। জোকোভিচ ১৯টি। শুধু তাই নয়, নাদালের সঙ্গে তার গ্ল্যান্ড স্লামের বিশাল পার্থক্য।
তবে সেসব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না জোকোভিচ। ফেদেরার ও নাদালকে কিংবদন্তি হিসেবে মানেন তিনি, ‘রাফা ও রজারকে অবশ্যই শ্রদ্ধা জানাতে হবে। তারা আমাদের অঙ্গনে কিংবদন্তি। তারা আমাদের খেলাধুলার কিংবদন্তি এবং আমি দু'জন দুর্দান্ত খেলোয়াড়ের মুখোমুখি হয়েছি। তাদের কারণেই আমি আজ এখানে। কারণ তাদের দেখে বুঝেছি আমাকে মানসিকভাবে, শারীরিকভাবে ও কৌলশগত দিক থেকে কতটা শক্তিশালী হতে হবে। শেষ ১০ বছর আমার জীবনের সেরা সময় গিয়েছে। কিন্তু এ যাত্রা এখানেই থামছে না।’