৫১ ম্যাচ ১৪২ গোলের টুর্নামেন্ট ইউরোর পর্দা নামল রোববার। শেষ হাসিটা হেসেছে ইতালি। দ্বিতীয়বার তারা পেলে ইউরোর শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। এজন্য ৩৪ মিলিয়ন ইউরো পুরস্কার পেয়েছে ইতালি। বাংলাদেশি টাকায় যায় ৩০৪ কোটি ছাড়িয়ে।
ইংল্যান্ড রানার্সআপ হওয়ায় ৩০.২৫ মিলিয়ন ইউরো পেয়েছে। বাংলাদেশি টাকায় যা ২৭১ কোটি ছাড়িয়ে। তৃতীয় হওয়া স্পেন পেয়েছে ২২.৫ মিলিয়ন ইউরো। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা প্রতিটি দল ৯.২৫ মিলিয়ন ইউরো পেয়েছে। এছাড়া গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে যারা পরবর্তী রাউন্ডগুলি খেলেছেন তাদের জন্যও ছিল বিশাল অর্থ পুরস্কার। ডেনমার্ক ২১ মিলিয়ন, বেলজিয়াম ১৯ মিলিয়ন, সুইজারল্যান্ড ও চেক রিপাবলিক ১৬.৭৫ মিলিয়ন ইউরো পুরস্কার জিতেছে।
এছাড়া বেশ কিছু ব্যক্তিগত পুরস্কারও জিতেছেন খেলোয়াড়রা। সবচেয়ে বেশি গোল ও অ্যাসিস্ট করে গোল্ডেন বুট পেয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পর্তুগালের অধিনায়ক পাঁচ গোল ও এক অ্যাসিস্টে পেয়েছেন এ পুরস্কার। সিলভার বুট জিতেছেন চেক রিপাবলিকের প্যাটট্রিক সিক। পাঁচ গোল করে তিনি এ পুরস্কার জিতেছেন।
ব্রোঞ্জ পুরস্কার জিতেছেন করিম বেনজামা। জাতীয় দলে ফিরে চার গোল করেছেন তিনি। চার গোল করেছেন এমিল ফোরসবার্গ, রোমেলো লুকাকু, হ্যারি কেনও। তবে তাদের থেকে কম সময় মাঠে থেকে এ পুরস্কার জিতেছেন বেনজামা।
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় গোল্ডেন বল পুরস্কার পেয়েছেন ইতালির গোলরক্ষক জিয়ানলুইগি ডোনারুম্মা। ২২ বছর বয়সী এ গোলরক্ষক টাইব্রেকারে দুটি শট রুখে দেন। এর আগে স্পেনের বিপক্ষে সেমিফােইনালে তার পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। জিয়ানলুইগি ডোনারুম্মা দ্বিতীয় গোলরক্ষক হিসেবে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেলেন। এর আগে ১৯৯২ সালে কেসপার শেমিচেল এ পুরস্কার পেয়েছিলেন।
সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন স্পেনের মিডফিল্ডার পেড্রি। বার্সেলোনার ১৮ বছর বয়সি মিড ফিল্ডার এ প্রতিযোগিতার আগে চারটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন। ১৯৯৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারির পর যেসব খেলোয়াড় জন্মগ্রহণ করেছেন তাদেরকে এ পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হয়েছিল।