আগের দিন ডোয়াইন ব্রাভো জানিয়েছিলেন, ক্রিস গেইলের উপস্থিতি প্রতিপক্ষের জন্য হুমকি। ২৪ ঘণ্টা না পেরুতেই গেইলের ঝাঁঝ হারে হারে টের পেল অস্ট্রেলিয়া।
ব্যাট হাতে দোর্দান্ড প্রতাপে স্রেফ অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ২২ গজে তার ব্যাটে ছক্কা বৃষ্টি। গুনেগুনে মেরেছেন ৭ ছক্কা। চার মেরেছেন ৪টি। ৩৮ বলে ৬৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ১৪২ রানের লক্ষ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেরিয়ে যায় অতি সহজে।
জয় পায় ৬ উইকেটে ৩১ বল আগে। তাতে দুই ম্যাচ হাতে রেখে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা ভালো ছিল না। ফ্লেচার ৪ ও সিমন্স ১৫ রানে সাজঘরে ফেরেন। তিনে ব্যাটিং করতে নেমে হিসেব পাল্টে দেন গেইল। তার সঙ্গে ছিলেন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। দুইজনের তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৪১ বলে ৬৭ রান। দ্বিতীয় ওভারে গেইল পেসার জস হ্যাজেলউডকে তিন চার ও এক ছক্কা হাঁকান। এরপর ধারাবাহিকভাবে তার ব্যাট থেকে এসেছে রান। অষ্টম ওভারে জাম্পাকে এক চার ও এক ছক্কা হাঁকিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১৪ হাজার রান পূর্ণ করেন। ৪৩১ ম্যাচে তার টি-টোয়েন্টি রান ১৪০৩৮।
১১তম ওভারে জাম্পাকে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে এলোমেলো করে দেন। তার ব্যাট থেকে শেষ দুই ছক্কা আসে ১২তম ওভারে মেরেডিথের বলে।শেষ পর্যন্ত তাকে উড়াতে গিয়ে গেইল উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ৬৭ রানে। ততক্ষণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়ের খুব কাছাকাছি পৌঁছে যায়। পুরান ৩২ ও আন্দ্রে রাসেল ৭ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নামা অস্ট্রেলিয়াকে ১৪১ রানে আটকে রাখে বোলাররা। স্বাগতিকদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খাত খুলে খেলতে পারেননি কোনো ব্যাটসম্যান। সর্বোচ্চ ৩৩ রান করা মার্কোস হেনরিকস। ২৯ বলে ২ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। এছাড়া ওপেনিংয়ে অ্যারন ফিঞ্চ ৩০, ম্যাথু ওয়েড ২৩ রান করেন। শেষ দিকে অ্যাস্টন টার্নারের ২৪ রানে অতিথিদের পুঁজি বড় হয়। কিন্তু গেইলের দিন সেই রান ওয়েস্ট ইন্ডিজ টপকে যায় অনায়েসে।
১৫ ও ১৭ জুন সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সিরিজ হারানোর পর অস্ট্রেলিয়া হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারে কিনা সেটাই দেখার।