কক্সবাজারে এক ক্যাম্প থেকে অন্য ক্যাম্পে স্থানান্তরে রাজি না হয়ে ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। গত ১৫ জুলাই পালানোর সময় টেকনাফ থেকে ৩৬ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান ও সেনাবাহিনী।
টেকনাফ শামলাপুর ২৩ নং ক্যাম্প থেকে জামালবাজার ক্যাম্প-১৯, ২০, ১৮ ও ৭ এ স্থানান্তর করায় পালানোর চেষ্টা করা রোহিঙ্গাদের শামলাপুর ঘাট ও লামার বাজার থেকে আটক করা হয়।
১৫ জুলাই ভোররাতে পালানোর চেষ্টাকালে শামলাপুর নৌকার ঘাট ও লামার বাজার থেকে ১১ জনকে আটক করা হয় এর আগে ২৫ জনসহ মোট ৩৬ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ১৬ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (এসপি) তারিকুল ইসলাম।
কয়েকমাস ধরে সরকার টেকনাফের শামলাপুর ২৩নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের অন্য ক্যাম্পে স্থানান্তর শুরু করেছে। এ কারণে শামলাপুর ক্যাম্পের রোহিঙ্গা যুবকেরা পালিয়ে জেলে সেজে সাগর সৈকতে নৌকায় আশ্রয় নিচ্ছে। এদিকে খবর পেয়ে ১৬ এপিবিএন ও সেনাবাহিনীর টহল টিম শামলাপুর ২৩ নং ক্যাম্প সংলগ্ন সমুদ্রতীরের লামার বাজার ও নৌকা ঘাটে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
পরে শামলাপুর উত্তর নৌকা ঘাট ও দক্ষিণ নৌকা ঘাট থেকে সরকারি আদেশ অমান্য করে অবৈধভাবে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সমবেত হওয়া বহিরাগত ও শামলাপুর ক্যাম্পের ১১ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। এরা নিজেদের জেলে বলে দাবি করছিল।
এর আগেও গত ১১ জুলাই যৌথ অভিযান চালিয়ে ২ জন বহিরাগত রোহিঙ্গাকে শামলাপুর ক্যাম্প থেকে আটক করা হয়।
১৬ এপিবিএন সূত্রে জানা যায়, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া এখন নিষিদ্ধ। এরপরও নিয়ম-নীতির কোনো তোয়াক্কা না করে সাগরে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। নৌকা সমিতির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া আছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ যেন সাগরে মাছ ধরতে না যায়। এই নির্দেশনা কেউ না মানলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এমন নির্দেশনা দেওয়ার পরও যারা সাগরে যাচ্ছে তাদের আটক করা হচ্ছে।
এদিকে ১৫ জুলাই দুপুরে সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে শামলাপুর ক্যাম্প-২৩ হতে ২১টি রোহিঙ্গা পরিবারের ৯৯ জন রোহিঙ্গাকে উখিয়া ক্যাম্প-১৯ ও ২০ স্থানান্তর করা হয়। এর আগে গত ১০, ১১ ও ১৩ জুলাই তিনদিনে ৮০ পরিবারের ৩৭২ জন রোহিঙ্গা নারী পুরুষ ও শিশু উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয়। শামলাপুর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পের অফিসার ও সদস্যরা রোহিঙ্গা পরিবারগুলোকে এক জায়গায় সমবেত করে সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে গন্তব্যে পৌঁছাতে সহযোগিতা করেছে বলে জানিয়েছেন ১৬ এপিবিএন অধিনায়ক।
অধিনায়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, 'ক্যাম্প ছেড়ে পালানো রোহিঙ্গাদের আটক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'