সারা বাংলা

শাশুড়িকে মারধর: জামিন পেলেন সেই ২ শিশুর মা

শাশুড়িকে মারধরের মামলায় কারাগারে যাওয়া গৃহবধূ অনিতা জামানের জামিন দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৯ জুলাই) বরগুনার সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মাহবুবুল আলম ওই গৃহবধূর জামিন মঞ্জুর করেন।

একইসঙ্গে আগামী এক মাসের মধ্যে শাশুড়ি ও পুত্রবধূর পারিবারিক দ্বন্দ্ব আপস-মীমাংসা করে শান্তি বজায় রেখে বসবাস করার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) শাশুড়িকে মারধরের অভিযোগের মামলায় গৃহবধূ অনিতা জামানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। একই মামলায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে ফেরারি হয় অনিতা জামানের স্বামী। এ কারণে অসহায় হয়ে হয়ে পড়ে অনিতা জামানের ১৩ বছরের সন্তান আলিফ ও আড়াই বছরের আরেক ছেলে গালিফ। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে আলিফ ছোট ভাইকে নিয়ে শনিবার (১৭ জুলাই) সকালে বরগুনা টাউন হল চত্বরে এবং পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে।

অবস্থান ধর্মঘট দেখে ওই দিনই আইনজীবীরা পাশে দাঁড়ান আলিফ-গালিফের। পরের দিন রোববার (১৮ জুলাই) অনিতা জামানের আইনজীবী ভার্চুয়াল আদালতে জামিনের আবেদন করলে শুনানির জন্য আজ (সোমবার) দিন ধার্য করেন আদালত। 

এ বিষয়ে অনিতা জামানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট সোহেল হাফিজ রাইজিংবিডিকে বলেন, পারিবারিক কলহ দূর করে শাশুড়ি-পুত্রবধূসহ পরিবারের সবাইকে মিলেমিশে থাকতে এবং নিজেদের মধ্যে মীমাংসা করতে এক মাসের সময় বেঁধে দিয়ে অনিতা জামানের জামিন দিয়েছেন আদালত।

আরও পড়ুন: মায়ের মুক্তির দাবিতে দুই শিশুর অবস্থান ধর্মঘট

এ বিষয়ে শাশুড়ি আলেয়া বেগমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিশকাত সাজ্জাত রাইজিংবিডিকে বলেন, মীমাংসার জন্য এক মাস সময় দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে মীমাংসা না হলে আদালত আবার নতুন করে সিদ্ধান্ত নেবেন। আসামির জামিন হওয়া মানেই মামলা শেষ নয়। আদালত যা ভালো মনে করবেন সেটাই সঠিক।

গত ২০ জুন ৬০ বছরের বৃদ্ধা আলেয়া বেগম জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বরগুনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। এ মামলায় দুই ছেলে ও বড় পুত্রবধুকে আসামি করা হয়। গত ৩০ জুন নিজেকে মারধরের অভিযোগ এনে একই আদালতে শাশুড়ি আলেয়া বেগম তার বড় ছেলের স্ত্রী অনিতা জামানকে (৩০) প্রধান আসামি করে বড় ছেলে মনিরুজ্জামান জুয়েলসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।