বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, বিদেশে নিজেদের দেশকে সুন্দরভাবে পরিচিতি করিয়ে দেওয়ার জন্য বেসরকারি সেক্টর এখন এগিয়ে আসছে। এরই ধরাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রে চলতি রোড শো’তে ওয়ালটন, ইস্টার্ন ব্যাংক ও নগদ বাংলাদেশকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে সবাইকে নিয়ে সাহায্য করছে। দেশের জন্য কিছু করতে বিদেশে এসেছেন দেশের শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও ব্যবসায়িরা। মূলত বাংলাদেশকে প্রোমোট করতে তারা এখানে এসেছেন। এই রোড শো’তে অংশ নিচ্ছেন।
‘দি রাইজ অব বাংলাদেশ টাইগার: পটেনশিয়ালস ইন ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ’-শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী এ রোড শোর প্রথম পর্ব সোমবার (২৬ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় শুরু হয় নিউ ইয়র্ক সিটির কেন্দ্রস্থল ম্যানহাটনের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল বার্কলের বলরুমে।
এ পর্বের রোড শোতে অংশগ্রহণ করেন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। রোড শো অনুষ্ঠানের শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এ কথা বলেন।
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, আমরা গর্ব করে বলি, আমাদের শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও ব্যবসায়িরা আজকে বাংলাদেশকে প্রোমোট করতে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। তাদের এখানে কোনো স্বার্থ নেই। এ আয়োজন ও বিভিন্ন রকম ব্যবস্থাপনায় তারা সঙ্গী হতে চান। বাংলাদেশে ওনারা ব্যবসা করেন। বাংলাদেশে তাদের অনেক সম্মান, খ্যাতি ও অর্থ রয়েছে। তারা এখন দেশের জন্য কিছু করতে বিদেশে এসেছেন। ওনাদের এজন্য সম্মান করা উচিত। এ অয়োজনের জন্যই ওয়ালটন, ইস্টার্ন ব্যাংক ও নগদ যুক্তরাষ্ট্রে এসেছে। এর আগে রোড শো’র এমন আয়োজনে দুবাইতে ছিল ইউসিবি ব্যাংক।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, দেশে মুনাফা করা বড় বড় ব্যাংক ও কোম্পানি আমাদের কাছে প্রচুর অনুরোধ করেছে, পরবর্তী রোড শো’তে তারা স্পন্সর করবে। তার মানে, সরকারের রাজস্বের ওপর চাপ কমে যাচ্ছে। বেসরকারি সেক্টর এগিয়ে আসছে দেশকে বিদেশে সুন্দরভাবে পরিচিতি করিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে। এ রোড শো’তে ওয়ালটন, ইস্টার্ন ব্যাংক ও নগদ বাংলাদেশকে পজিটিভলি তুলে ধরতে সবাইকে নিয়ে সাহায্য করছে।
২৬ জুলাই নিউ ইয়র্কে উদ্বোধনী রোড শো’র অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বিএসইসির কমিশনার ড. মিজানুর রহমান, ওয়ালটন হাইটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মুর্শেদ, শান্তা অ্যাসেটের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান প্রমুখ।
আমেরিকার চারটি শহরে ‘দি রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: পয়েন্টশিয়ালস ইন ট্রেন্ড অ্যান্ড ইনভেষ্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ-শীর্ষক এই রোড শো’ চলবে সপ্তাহজুড়ে। ২৮ জুলাই দ্বিতীয় রোড শো হবে ওয়াশিংটন ডিসিতে। তৃতীয়টি ৩০ জুলাই লস এঞ্জেলেসে। চতুর্থ রোড শো’ অনুষ্ঠিত হবে সিলিকন ভ্যালি সান ফ্রান্সিসকোতে, ২ আগস্ট।
এই অনুষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন পর্বে পুঁজিবাজার কেন্দ্রিক বিভিন্ন বিষয়কে ফোকাস করা হয়েছে। রোড শো’কে কেন্দ্র করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মনোযোগ এবং আর্কষণের কেন্দ্রবিন্দুতে এখন ওয়ালটন। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে এসেই বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে দেশের শীর্ষ ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য উৎপাদন এবং বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। লভ্যাংশ, বিশ্বমানের পণ্য, রপ্তানি এবং মান সম্পন্ন সেবা দিয়ে বাংলাদেশের টেক জায়ান্ট ওয়ালটন অতি অল্প সময়ের মধ্যে সবার আস্থা অর্জন করেছে।