রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ এবং স্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধির মধ্য ফোনালাপের অডিও ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি তদন্তে উচ্চপর্যায়ের কমিটি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে করা এ তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২৮ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরীক্ষা ও আইন) খালেদা আক্তারকে সভাপতি করে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রণালয়। কমিটির অপর সদস্য হলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে ভিকারুননিসার প্রিন্সিপাল যা বলছেন
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। সম্প্রতি এ দুজনের ৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড-এর একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়।
ওই ফোনালাপের এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুলকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। কেউ (কোনো...বাচ্চা) যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগব। আমি শুধু ভিকারুননিসা না, আমি তাকে দেশ ছাড়া করব।’
এদিকে, ফাঁস হওয়া ওই ফোনালাপের অডিওকে ভিত্তিহীন ও ‘সুপার এডিটেড’ বলে মন্তব্য করেছেন ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ।
অধ্যক্ষ ও অভিভাবক ফোরাম নেতার সাড়ে ৪ মিনিটের ওই কথোপকথন এখন সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে। সেই অডিও ফোনালাপে এমন কিছু গালি রয়েছে যা প্রকাশের অযোগ্য। এতে বিব্রত ভিকারুননিসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
ফাঁস হওয়া ওই অডিও ভিকারুননিসার দীর্ঘদিনের সুনাম ও ঐতিহ্যের ওপর আঘাত হেনেছে বলে মন্তব্য করছেন প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বোডির সদস্যরা।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা কামরুন নাহারকে গত বছরের ডিসেম্বরে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।