বিনোদন

দুঃসময়ে শিল্পার পাশে পরিচালক

জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি। সম্প্রতি তার স্বামী রাজ কুন্দ্রা পর্নোগ্রাফি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। এরপর থেকে এই অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চলছে জোর চর্চা।

এদিকে এই ঘটনায় বলিউড তারকারা এখনো নিশ্চুপ। তবে এবার শিল্পার পাশে দাঁড়ালেন পরিচালক হ্যানসাল মেহতা। মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে তিনি এই অভিনেত্রীকে প্রাইভেসি দিতে ও বিচারকের রায়ের আগেই দোষী সাব্যস্ত না করার আহ্বান জানিয়েছেন।

টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘যদি পাশে দাঁড়াতে না পারেন অন্তত শিল্পাকে একা থাকতে এবং আদালতকে বিষয়টি নির্ধারণ করতে দিন। তার মর্যাদা ও প্রাইভেসি বজায় রাখুন। এটি খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, মানুষকে এখন নিজেকেই সব সামাল দিতে হয় এবং বিচারের আগেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়।’

‘আলীগড়’, ‘শহিদ’, ‘সিটি লাইটস’, ‘সিমরন’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই নির্মাতা। অপর এক টুইটে বলিউড তারকাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘এই নীরবতা একটি ছক। ভালো সময়ে সবাই মিলে পার্টি করে। খারাপ সময়ে সবাই নীরব। একটি একাকিত্ব। সত্যটা যেটিই হোক ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে।’

তিনি আরো লিখেছেন, ‘এই নিন্দারও একটি প্যাটার্ন রয়েছে। যদি অভিযোগ কোনো চলচ্চিত্র শিল্পীর বিরুদ্ধে হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তার প্রাইভেসি নষ্ট করা, এরপর তার সমালোচনা, চরিত্র হনন এবং গসিপ নিউজ করা হয়। এতে করে প্রত্যেকের মর্যাদা নষ্ট হয়। আর সবই নীরব থাকার ফল।’

স্বামী রাজ কুন্দ্রার পর্নোগ্রাফি মামলায় এই অভিনেত্রীকে নিয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন ও ভাবমূর্তি নষ্ট করার দায়ে ২৯ মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও মিডিয়া হাউজের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন শিল্পা। নিঃস্বার্থ ক্ষমা না চাইলে এই সব মিডিয়া হাউজের কাছ থেকে পঁচিশ কোটি রুপির ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তিনি।

শুক্রবার (৩০ জুলাই) বম্বে উচ্চ আদালতে এই মামলার শুনানি হয়েছে। বিচারপতি গৌতম এস প্যাটেল এই মামলার বিচারক ছিলেন। শুনানিতে আদালতের ভর্ৎসনা মুখে পড়েন শিল্পা। আদালত শিল্পার আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন— পুলিশের দেওয়া তথ্য চ্যানেলে সম্প্রচার করা হলে বা সংবাদপত্রে অথবা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত হলে সেটা কীভাবে মানহানিকর? আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পুলিশ অথবা ক্রাইম ব্রাঞ্চের পক্ষ থেকে দেওয়া কোনো তথ্য প্রকাশ করা কখনোই মানহানিকর বলে বিবেচ্য হতে পারে না।

আদালতের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গোপনীয়তার অধিকারের (রাইট টু প্রাইভেসি) মধ্যে একটা সমতা বজায় রাখতে হবে। বাকস্বাধীনতার পথ সংকীর্ণভাবে তৈরি করতে হতে পারে, কিন্তু গোপনীয়তার অধিকার প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার এবং তা সংবিধানসিদ্ধ। তাই কোনো মানুষ পাবলিক ফিগার মানে এই নয়, তাকে নিজের ব্যক্তি স্বাধীনতা বিসর্জন দিতে হবে।