টোকিও অলিম্পিক গেমসে সোনার লড়াই নিশ্চিত করতে কাশিমা সকার স্টেডিয়ামে মেক্সিকো অনূর্ধ্ব-২৩ দলের মুখোমুখি হয় ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২৩ দল। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষে প্রথম সেমিফাইনালের স্কোর ছিল গোলশূন্য। অতিরিক্ত সময়েও স্কোর পাল্টায়নি। তাতে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ, যেখানে ৪-১ গোলে জিতে ফাইনালে উঠলো রিও অলিম্পিকের স্বর্ণ জয়ী ব্রাজিল।
৯ বছর আগে ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক ফাইনালে মেক্সিকোর কাছে ২-১ গোলে হেরে রুপা পেয়েছিল ব্রাজিল। এবার সেই শোধ তুলে সোনা ধরে রাখার পথে শেষ ধাপে পা রাখল তারা। তাদের টানা তৃতীয় ফাইনালে প্রতিপক্ষ কে, জানা যাবে জাপান ও স্পেনের ম্যাচ শেষে। বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায় দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল।
নির্ধারিত সময়ে দুই দলই আক্রমণ প্রতি আক্রমণে গেছে। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি কেউ। ব্রাজিল লক্ষ্যে শট নেয় ৬টি আর মেক্সিকো চারটি।
সবচেয়ে সুবর্ণ সুযোগ ব্রাজিল নষ্ট করে ৮২ মিনিটে। দানি আলভেসের ক্রসে বক্সের সেন্টার থেকে রিচার্লিসনের হেড বাঁ পোস্টে আঘাত করে। ৮৯ মিনিটে আবারও এভারটনের এই ফরোয়ার্ড লক্ষ্যে শট নেন। কিন্তু তার নিচু কোনাকুনি প্রচেষ্টা ঠেকান মেক্সিকো গোলকিপার গুইলেরমো ওচোয়া। এর আগে অ্যান্টনি ও আলভেসকে ঠেকিয়ে দলকে রক্ষা করেন ২০১৪ বিশ্বকাপে নজর কাড়া এই গোলকিপার।
অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ গড়ালে দুই দলের কেউই সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তেমন। ১০৪ মিনিটে গুইলেরমো আরানার বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট ডান দিকের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে যায়। চার মিনিট পর দানি আলভেসের ফ্রি কিকও গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে মাঠ ছাড়া হয়। ব্রাজিল এই দুটি সুযোগ নষ্ট করলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
পেনাল্টি শুটআউটে দুর্দান্ত ছিলেন ব্রাজিল গোলরক্ষক সান্তোস। আলভেস প্রথম কিকে গোল করার পর মেক্সিকোর এদুয়ার্দো আগুইরেকে রুখে দেন তিনি। গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি ব্রাজিলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দ্বিতীয় শটে। এবারো মেক্সিকো গোল পায়নি, জোহান ভাসকেজের শট বাঁ পোস্টে আঘাত করে। ব্রুনো গুইয়ামারেস ব্রাজিলের তৃতীয় শট থেকে লক্ষ্যভেদ করেন। তৃতীয় শটে মেক্সিকো গোলের দেখা পায় কার্লোস রোদ্রিগেজের ডান পায়ের শটে। রেইনিয়েরের চতুর্থ শট লক্ষ্যভেদ করলে ব্রাজিল নিশ্চিত করে ফাইনাল।