ক্যাম্পাস

বারিতে ১১৭৮টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন  

গাজীপুরের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ‘অভ্যন্তরীণ গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালা-২০২১’-এর উদ্বোধন হয়েছে। 

রোববার (৮ আগস্ট) সকালে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনলাইনে উদ্বোধন হয়েছে।  গত অর্থ বছর যে সব গবেষণা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছিল, সেগুলোর মূল্যায়ন এবং এসব অভিজ্ঞতার আলোকে আগামী বছরের গবেষণা কর্মসূচি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।

কর্মশালায় বিজ্ঞানীরা জানান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এপর্যন্ত বিভিন্ন ফসলের ৬০২টি উচ্চ ফলনশীল (হাইব্রিডসহ), রোগ প্রতিরোধক্ষম ও বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ প্রতিরোধী জাত এবং ৫৭৬টি অন্যান্য প্রযুক্তিসহ এ যাবৎ ১ হাজার ১৭৮টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এসব প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে দেশে তেলবীজ, ডালশস্য, আলু, সবজি, মসলা এবং ফলের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ প্রযুক্তির উপযোগিতা যাচাই বাছাই ও দেশের বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কর্মসূিচ গ্রহণ করাই এ কর্মশালার প্রধান উদ্দেশ্য।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. নাজিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে  বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অমিতাভ সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে জুম প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি গবেষণা কার্যক্রম পরিকল্পনা তৈরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি আবহাওয়া উপযোগী পুষ্টিমান সমৃদ্ধ ফসলের জাত উদ্ভাবনের জন্য বিজ্ঞানীদের আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীর।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিগত বছরে যেসব গবেষণা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল, তা বাস্তবায়নের রির্পোট এ গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে কৃষি উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। 

জাতীয় কৃষি উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে। এইসব কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হচ্ছে পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ, কৃষিতে বৈচিত্র আনায়ন এবং চালের ওপর চাপ কমানো।  দেশের কৃষিতে বিদ্যমান যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা থেকে উত্তরণের বিভিন্ন উপায় এসব পরিকল্পনায় গ্রহণ করা হয়।