সাকিব আল হাসান মাঠে নামা মানেই নতুন কোনো অর্জনে নাম লেখানো। সাফল্যের মুকুটে যোগ করা নতুন পালক। ব্যক্তিগত অর্জনে সাকিব বরাবরই নিজেকে নিয়ে গেছেন নতুন উচ্চতায়। এবার এমন একটি রেকর্ড গড়লেন, যা ক্রিকেট বিশ্ব দেখল প্রথমবার।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ম্যাথু ওয়েড ও অ্যাস্টন টার্নারকে ফিরিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে উইকেটের সেঞ্চুরি করেছেন সাকিব। বিশ্বের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে একশ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক ছুঁয়েছেন সাকিব। এছাড়া এ ফরম্যাটে ব্যাটিংয়ে এক হাজার রান ও একশ উইকেট নেওয়ার অনন্য কীর্তি গড়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এমন ডাবল কীর্তি নেই অন্য কোনো ক্রিকেটারের।
মিরপুরের চিরচেনা উইকেটে অসাধারণ কীর্তি গড়তে সাকিবের প্রয়োজন ছিল ৫ উইকেটের। ৯৫ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ শুরু করেছিলেন সাকিব। প্রথম তিন ম্যাচে সাকিব একটি করে উইকেট পেয়েছিলেন। চতুর্থ ম্যাচে ছিলেন উইকেটশূন্য। আজ শেষ ম্যাচে নিজের প্রথম ওভারে পেয়ে যান ওয়েডের উইকেট। তার শর্ট বল পুল করতে গিয়ে বোল্ড হন অজি অধিনায়ক। তৃতীয় ওভারে বাঁহাতি স্পিনার পৌঁছে যান মাইলফলকে। টার্নার কভারে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দেন।
৮৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সাকিবের রান ১৭১৮। বল হাতে উইকেট পেয়েছেন ১০০টি। অসাধারণ ডাবলে সাকিব ভাস্বর হলেন মিরপুর শের-ই-বাংলায়। তবে এ ফরম্যাটে উইকেট শিকারির তালিকায় সাকিব রয়েছেন দুই নম্বরে। ১০৭ উইকেট নিয়ে মালিঙ্গা সবার উপরে। পরের জায়গায় রয়েছেন বাংলাদেশের সুপারস্টার। ৯৯ উইকেট নিয়ে টিম সাউদি রয়েছেন তিনে। শহীদ আফ্রিদির উইকেট ৯৮টি। ৯৫ উইকেট নিয়ে রশিদ খান রয়েছেন পাঁচে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন সাকিব। তার হাত ধরেই এবার এলিট এক ক্লাবের সূচনা হলো।
প্রসঙ্গত, পুরুষ ও নারীদের ক্রিকেট মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে অসাধারণ এ ডাবলের কীর্তি গড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এলিস পেরি। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ৪৭ রানের ইনিংস খেলার পর এলিট ক্লাবে প্রবেশ করেন পেরি। এর আগে ২০১৮ সালের নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডের ন্যাট সেভিয়ারের উইকেট নিয়ে উইকেটের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন।