হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার পাহাড়ি এলাকার পানছড়িতে বসবাস করা বিধবা সায়েরা বেগম পাচ্ছেন ঘর-ভাতা কার্ড।
এখানে দুই মেয়েকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন সায়েরা বেগম। তাকে নিয়ে ১৯ জুন দেশের জনপ্রিয় নিউজপোর্টাল রাইজিংবিডিতে ‘বিধবা সায়েরার দুঃখ পানছড়ি ইকো রিসোর্ট’ শিরোনামে একটি মানবিক সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি দৃষ্টিগোচর হয় চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সত্যজিত রায় দাশের। এরপর তিনি বিধবা সায়েরা বেগমকে সরকারি সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নেন।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সকালে পানছড়ি আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সত্যজিত রায় দাশ ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পাল। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তার এক বস্তা চাল সায়েরার হাতে তুলে দেন তারা।
ইউএনও বলেন, ‘নতুন করে ৫টি সরকারি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এরমধ্যে একটি ঘর দেওয়া হবে সায়েরা বেগমকে। এছাড়া তাকে একটি বিধবা ভাতার কার্ডও দেওয়া হবে।’
সায়েরা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী মারা গেছেন প্রায় ৮ বছর হয়। দুই সন্তানকে নিয়ে খুব অসহায় অবস্থায় কষ্টে আছি। এরমধ্যে সরকারি জমিতে বসবাস করে আসছিলাম। পরে বসবাসের ওই জমিটুকুও রিসোর্টের এলাকায় চলে যায়। ভেবে পাচ্ছিলাম না কি করবো? অবশেষে রাইজিংবিডি’র প্রতিবেদক এসে আমার মানবেতর জীবন যাপন নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেন। আজ ইউএনও স্যার আমাকে চাল উপহার দিয়ে গেলেন। দ্রুত জমিসহ একটি সরকারি ঘর ও বিধবা ভাতা কার্ডও দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এজন্য শুকরিয়া আদায় করছি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ইউএনও এবং পিআইও মহোদয়ের প্রতি। ধন্যবাদ জানাই রাইজিংবিডি ও প্রতিবেদককে।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পাল বলেন, ‘ইউএনও মহোদয় চুনারুঘাটের তৃণমূল মানুষের মাঝে সরকারি সেবাগুলো দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি অন্যত্র যাওয়ার আগে অসহায় সায়েরা বেগমকে সহায়তা করতে পেরেছেন। এতে আমারও ভাল লাগছে।’
ইউএনও সত্যজিত রায় দাশ আরও লেন, ‘এখানে যোগদান করার পর থেকে তৃণমূল মানুষের কাছে সরকারি সেবাসমূহ পৌঁছে দিয়েছি। যাওয়ার আগে সায়েরা বেগমকে সরকারি সহায়তা করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দ লাগছে।তাকে বিধবা ভাতা কার্ড ও সরকারি ঘর দ্রুত দেওয়া হবে।’