গোল না খাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে মালদ্বীপের মালেতে রাশমি ধান্দু স্টেডিয়ামে নেমেছিল এটিকে মোহনবাগান। আর বসুন্ধরা কিংসের সামনে ছিল কেবল একটাই রাস্তা খোলা- জয়। ভারতীয় ক্লাবের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে এগিয়ে যায় অস্কার ব্রুজনের দল। কিন্তু শেষ ৪৫ মিনিট একজন কম নিয়ে খেলে লিড ধরে রাখতে পারেনি। পাল্টা গোলে ড্র আদায় করেছে মোহনবাগান, এক পয়েন্টই যে তাদের নকআউটে উঠতে যথেষ্ট ছিল। তাতে এই প্রতিযোগিতায় অপরাজিত থাকলেও ছিটকে গেল বসুন্ধরা।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে দারুণ ফুটবল খেলেছিল বসুন্ধরা। মোহনবাগানের চেয়ে ২ পয়েন্ট ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে মাঠে নামা বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা লিড নিয়েছিল ম্যাচের প্রথম ভাগে। কিন্তু ১০ জনের দল নিয়ে বিরতিতে যাওয়ার পর লিড ধরে রাখতে পারেনি। ১-১ গোলে ড্র করে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিলো তারা।
ম্যাচের ১৫ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত এক গোলের দেখা পেতে পারত মোহনবাগান। গোলমুখের সামনে দাঁড়িয়ে কোটালের শট হেড করে ফেরান বসুন্ধরা ডিফেন্ডার খালেদ শাফিয়েই।
২৮ মিনিটে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। রবিনহোর সঙ্গে ওয়ান-টু পাসে বক্সে ঢুকে পড়েন জোনাথন ফের্নান্দেস। মোহনবাগানের বক্সের বাঁ প্রান্তের কোণায় দাঁড়িয়ে মাপা শটে গোলকিপার অম্রিন্দারকে পরাস্ত করেন ফের্নান্দেস।
বিরতিতে যাওয়ার আগে আক্রমণের পসরা সাজায় ভারতীয় দল। ৪০ মিনিটে কৃষ্ণার বাঁ পায়ের শট ব্লক করেন খালিদ। তিন মিনিট পর কৃষ্ণার বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া আরেকটি শট রুখে দেন বসুন্ধরা গোলকিপার আনিসুর জিকো।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ১০ জনের দল হয় বসুন্ধরা। প্রতিপক্ষ দলের শুভাশিসকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন সুশান্ত ত্রিপুরা।
৬১ মিনিট পর বসুন্ধরার লিড হাতছাড়া হয়। বিশ্বনাথ ঘোষকে ফাঁকি দিয়ে বাঁ দিক দিয়ে বল বাড়ান লিস্টন, তার পাস থেকে সমতাসূচক গোল করেন ডেভিড উইলিয়ামস।
৮২ মিনিটে ইয়াসিন খান ও মাহবুবুর রহমান সুফিলকে এনেও কাঙ্ক্ষিত জয়সূচক গোলের দেখা পায়নি বসুন্ধরা। তিন মিনিট পর রবিনহোর দারুণ প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন অম্রিন্দার।
‘ডি’ গ্রুপে তিন ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে সাউথ জোনালের চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউটে মোহনবাগান। ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকে শেষ করল বসুন্ধরা।