হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে শিকারির কবল থেকে উদ্ধার হওয়া একটি টিয়া ও দুইটি ডাহুকসহ ৩টি পাখি অবমুক্ত করা হয়েছে। জেলায় পাখি শিকার বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হবিগঞ্জ বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের অফিস এলাকায় টিয়া পাখি ও বানিয়াচংয়ের হাওড়ে দুইটি ডাহুক পাখি অবমুক্ত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- হবিগঞ্জ বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা ফরেস্টার তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল, সদস্য ডা. আলী আহসান চৌধুরী পিন্টু, সাংবাদিক মোঃ মামুন চৌধুরী, বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের অফিস স্টাফ মোঃ জিয়াউল হক রাজু, মোঃ রানা আহমেদ, তাপস ভর ও টিপলু দেব।
এর আগে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ নগর থেকে ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা ফরেস্টার তোফায়েল আহমেদ চৌধুরীর নেতৃতে একটি টিয়া ও ভাদৈ এলাকা থেকে ডাহুক পাখি শিকারীদের কবল থেকে উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন- জলের পাখি ডাহুক। এই পাখিটি খুব ভীরু বলেই কি এত সুন্দর? পুকুর, খাল, জলাভূমি, বিল, নদীর গোপন লুকানো জায়গা বসবাসের জন্য এদের খুব প্রিয়। কিন্তু দ্রুত নগর বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে নদী-খাল-বিল, সেই সঙ্গে বিলীন হওয়ার পথে সুন্দর এই পাখি ডাহুক। ডাহুক বাংলাদেশের একটি বিপন্ন পাখি। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় এই পাখির নামে নিরবধি বয়ে চলেছে ডাহুক নদী। ডাহুক আসলে চিরবিরহী পাখি। সঙ্গীহীন হলে এরা পাগল হয়ে যায়। ডাহুক হারিয়ে গেলে ডাহুকী দিনরাত পাগলের মতো ডাকাডাকি করতে থাকে।
তিনি বলেন- বাংলাদেশ বন্যপ্রাণি আইনে ডাহুক পাখিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়েছে। মায়াবী ভালোবাসার বর্ণিল এই পাখিটি নির্দয় শিকারিদের অত্যাচার আর বসবাসের জায়গার অভাবে প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। পাখি রক্ষায় কাজ করায় হবিগঞ্জ বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের প্রশংসা করেন তিনি।
হবিগঞ্জ বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা ফরেস্টার তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী জানান, পাখি রক্ষায় তাদের অভিযান অব্যাহত আছে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।