মানিকগঞ্জে দৌলতপুর উপজেলার পংতিরছা গ্রামে স্ত্রী ও আড়াই বছরের কন্যা সন্তানকে হত্যার অপরাধে জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ সময় হত্যায় জড়িত থাকার অপরাধে ছয়জনকে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়। প্রমাণ না থাকায় একজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত। রায়ের পর আসামি পক্ষের লোকজন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। ২৭জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য্য এই রায় ঘোষণা করেন।
মানিকগঞ্জ কোর্টের ইন্সপেক্টর আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০০ সালে পংতিরছা গ্রামের মেয়ে লিপা আক্তারের সঙ্গে একই গ্রামের জাকির হোসেনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের আড়াই বছরের মধ্যেই লিপার ঘরে জ্যোতি আক্তার নামের এক মেয়ের জন্ম হয়।
এ সময় জাকির পাশের বাড়ির একজনের স্ত্রীর সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এরপর থেকেই প্রায় জাকির লিপার ওপর নির্যাতন করতে শুরু করেন। ২০০৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে লিপা তার স্বামীর ও তাহমিনার অনৈতিক কাজ ধরে ফেলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাকির লিপাকে গলা টিপে হত্যা করেন। আড়াই বছরের শিশু ঘটনাটি দেখে ফেলায় তাহমিনা, স্বপন, জাহাঙ্গীর, হাসান, আমীনূর ইসলাম, পারভেজ রানা মিলে জ্যোতিকেও গলা টিপে হত্যা করে।
পরে আসামিরা লাশ দুটিকে রেখে ডাকাতির নাটক করতে থাকে। পুলিশ খবর পেয়ে মা মেয়ের লাশ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়। এসময জাকির গা ঢাকা দেন।
লিপার স্বজনদের বিষয়টি সন্দেহ হলে ২০০৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি নিহতের বাবা আবু হানিফ বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।