শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ‘স্বল্প আয়তনের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশের আছে অমিত সম্ভাবনা। সরকার কৃষি খাতসহ অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
শনিবার (২ অক্টোবর) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় উৎপাদনশীলতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শুধু একটি নির্দিষ্ট খাতের অবদানের ওপর নির্ভরশীল নয়। এর জন্য প্রয়োজন সব খাতের সামগ্রিক অগ্রগতি ও অবদান। উৎপাদনশীলতার সুফল শুধু উৎপাদনকারী এককভাবে ভোগ করেন না। তার সুফল সরকার, মালিক, শ্রমিক ও ভোক্তাসহ সমাজের সবাই সমানভাবে ভোগ করেন। তাই এর সুফল ভোগ করতে সমাজের সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং অঙ্গীকার একান্ত প্রয়োজন। এই সামগ্রিক অঙ্গীকার ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার একমাত্র পথ হচ্ছে উৎপাদনশীলতা উন্নয়ন কর্মসূচিকে জাতীয় আন্দোলনে রূপান্তর করা।’
উৎপাদনশীলতার স্তরে বাংলাদেশের কিছুটা পিছিয়ে থাকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘এ অবস্থা থেকে আমাদেরকে দ্রুত উত্তরণ করতে হলে কৃষি, শিল্প, সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, চিকিৎসাকেন্দ্র প্রভৃতি জাতীয় অর্থনীতির সব কর্মকাণ্ডে পদ্ধতিগত ও ধারাবাহিকভাবে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কর্মসূচিকে আরও জোরদার করতে হবে। সবাইকে উৎপাদনশীলতার সুফল সম্পর্কে সচেতন এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির আন্দোলনে শামিল করতে হবে।’
শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম ইয়াহিয়া, ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) নবনিযুক্ত মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মেজবাহ-উল-আলম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। এনপিও’র পরিচালক এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) মো. ফয়জুর রহমান ফারুকী স্বাগত বক্তব্য দেন। এতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ২১টি দেশের এনপিও সংস্থার কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।