অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, আবু ধাবিতে দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা দিয়ে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্ব। এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে দুই দলের কারোরই ভালো রেকর্ড নেই। আর গ্রুপ ১ এর খেলায় প্রথম হার তাদের যে কারো ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে। শনিবার বাংলাদেশ সময় চারটায় মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল।
সাম্প্রতিক ফর্ম ও আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে অস্ট্রেলিয়া নয়, দক্ষিণ আফ্রিকাই ফেভারিট হিসেবে শুরু করতে যাচ্ছে এবার। শেষ ১০ টি-টোয়েন্টির নয়টি জিতেছে তারা। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচেও দুর্দান্ত রূপে দেখা গেছে তাদের। আর অস্ট্রেলিয়া শেষ ১০ টি-টোয়েন্টির ৮টিই হেরেছে এবং শেষ চারটি সিরিজও। প্রস্তুতি ম্যাচে কোনো রকমে অজিরা নিউ জিল্যান্ডকে হারাতে পারলেও ভারতের কাছে ধরাশায়ী।
কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক রেকর্ড ভালো, ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় তাদের শেষ সিরিজ জিতেছিল। দাপট দেখান তাদের উদ্বোধনী দুই ব্যাটসম্যান অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। এই দুজনই এখন রানখরায় ভুগছেন, তাতে দুশ্চিন্তার ভাঁজ অস্ট্রেলিয়ার কপালে।
এই ম্যাচে বিশেষ নজর থাকবে ওয়ার্নারের ওপর। বলা যায় চাপে আছেন অজি ওপেনার। ব্যাট হাতে বিবর্ণ তিনি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসার পর তার রান ০, ২, ০ ও ১। কিন্তু তার ওপর থেকে আস্থা হারাচ্ছেন না সতীর্থরা। যদিও টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের তুলনায় এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে আহামরি পারফর্ম করতে কখনো পারেননি ওয়ার্নার। ২৩ ইনিংসে তিনটি হাফ সেঞ্চুরিসহ স্ট্রাইক রেট মাত্র ১২৯। কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন দক্ষিণ আফ্রিকা, তখন ভালো কিছুর আশায় তিনি। অন্য যে কোনো দেশের খেলোয়াড়ের চেয়ে প্রোটিয়ার বিপক্ষে তার টি-টোয়েন্টি রান বেশি।
রেকর্ড গড়ার লক্ষ্য নিয়ে বিশ্বকাপে পা রাখতে যাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার তাবরাইজ শামসি। বর্তমান টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের শীর্ষ বোলারের দরকার আর চার উইকেট। তাহলে এক বর্ষপঞ্জিকায় সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ড গড়বেন তিনি। এই বছর তার প্রাপ্তি ২৮ উইকেট। এই বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪.০ ইকোনমি রেটে ৭ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরার পুরস্কার জয়ী স্পিনার প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বিরাট সমীহ নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন। মাঝের ওভারগুলোতে প্রথম ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের বিপদের কারণ হতে পারেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদেরও কঠিন পরীক্ষা নিবেন মিচেল মার্শ ও মার্কাস স্টয়নিস। কারণ আবু ধাবির পিচ স্পিনারদের চেয়ে পেসারবান্ধব। লড়াইটা হতে যাচ্ছে অজি ব্যাটসম্যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদার মধ্যে। সব টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ২৭ বলে তিনবার ম্যাক্সওয়েলকে আউট করেছেন রাবাদা। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপেও অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান এই পেসারের শিকার।
আবু ধাবির এই পিচে টস জয় হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত এই ভেন্যুতে খেলা চারটি ম্যাচের তিনটিই জিতেছে পরে ব্যাট করা দল। তবে এই বছর সব টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে প্রথমে ব্যাট করা দলই সফল হয়েছে।