কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে আগে প্রকাশিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি নারী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তাদের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। সংস্থার এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত মাসে প্রকাশিত স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, কঙ্গোয় দশমবারের মতো ইবোলা প্রাদুর্ভাবের সময় ৮৩ জন সহায়তাকর্মী নারীদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালিয়েছেন। এই কর্মীদের এক চতুর্থাংশকে নিয়োগ দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রতিবেদনে ধর্ষণের শিকার ৯ জনের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছিল। এদের মধ্যে ১৪ বছরের এক কিশোরীও ছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ ও প্রতিক্রিয়া বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. গায়া গামহিওয়াজ জানিয়েছেন, দাতব্য কর্মীদের হাতে নিপীড়নের শিকার আরও নারী মুখ খুলছেন। তবে এদের সংখ্যা তিনি প্রকাশ করেননি।
তিনি বলেন, ‘আমরা যত বেশি কাজ করব, আরও ঘটনা প্রকাশ্যে আসবে। তাই, ইতোমধ্যে আমরা অংশীদারদের কাছ থেকে শুনছি, তারাও আরও অভিযোগ পাচ্ছেন। আমরা যে ব্যবস্থাগুলো রাখতে চাই সেগুলো কাজ করতে শুরু করেছে তারই ইঙ্গিত এটি। আমরা আন্তঃসংস্থা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে শুনেছি যে গোমায় আরও অভিযোগ রয়েছে।’