আইন ও অপরাধ

আবরার হত্যা: ৪ আসামির খালাস দাবি

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার চার আসামিকে নির্দোষ দাবি করে যুক্তি উপস্থাপনে খালাস চেয়েছেন আইনজীবীরা।

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে চার আসামির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে খালাস চান তাদের আইনজীবীরা। রোববার (৩১ অক্টোবর) অপর আসামিদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু হবে।

যুক্তি উপস্থাপন শেষ হওয়া চার আসামি হলেন— ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মুনতাসির আল জেমি ও মোর্শেদ অমত্য ইসলাম। সিনিয়র আইনজীবী আমিনুল গণি টিটো প্রথম তিন জনের এবং আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু অপর শেষের আসামির পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষ ও বাদীপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয় গত ২৫ অক্টোবর। এরপর আমিনুল গণি টিটো যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। তিন কার্যদিবস পর বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি যুক্তি শেষ করেন। এরপর আজিজুর রহমান যুক্তি উপস্থাপন শুরু করে আজই তার আসামির পক্ষে শেষ করেন। উভয় আইনজীবী তাদের আসামিরা নির্দোষ মর্মে দাবি করে খালাস প্রার্থণা করেন।

যুক্তি উপস্থাপন হওয়া আসামিদের মধ্যে সকাল ও রবিন আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। যে সম্পর্কে আইনজীবী দাবি করেন, ‘পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে ভয় দেখিয়ে জোর করে স্বীকারোক্তি করানো হয়েছে।’

আইনজীবী টিটো আরও দাবি করেন, ‘আসামিরা ঘটনায় জড়িত থাকলে তারা হল ছেড়ে পালিয়ে যেতেন। ডক্টর আনতে বলতেন না, প্রভোস্টকে ফোন করে জানাতেন না। অ্যাম্বুলেন্স খবর দিতেন না।’ 

তিনি বলেন, ‘মামলায় প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করা হয়েছে। বুয়েটের ভিসিকে সাক্ষী করা হয়নি। প্রভোস্ট সাক্ষী থাকলেও তাকে সাক্ষ্য দিতে আদালতে আনা হয়নি। ভিসি ও প্রভোস্ট ছাত্রদের অভিভাবক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন। যে ১০/১২ জন ছাত্র মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন তাদের আবরার নিহত হওয়ার পর বহিস্কার করা হয়েছিল। পরে হাইকোর্টে রিট করে তারা ছাত্রত্ব ফিরে পেয়েছে।’ 

তিনি প্রশ্ন করেন, ‘কোন অপরাধে তাদের ছাত্রত্ব বাতিল হয়েছিল? এটা এ মামলায় আড়াল করা হয়েছে।’

এদিন যুক্তি উপস্থাপনকালে কারাগারে থাকা ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানির পর তাদের আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।