মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে অপরাধ শনাক্তকরণ, নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের লক্ষ্যে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড কন্ট্রোল অব মোবাইল ফাইন্যান্স রিলেটেড অর্গানাইজড ক্রাইম’ শীর্ষক এই কর্মশালার আয়োজন করে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে দিনব্যাপী সচেতনতামূলক এই কর্মশালা আয়োজন করে ‘নগদ’-এর এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স ডিভিশন। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ. মিশুক।
এছাড়া অতিথি বক্তা হিসেবে বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক মো. শাহ আলম, কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) এডিসি সাইদ নাসিরুল্লাহ ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. মাসুদ রানা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, নগদ-এর সর্বস্তরের কর্মকর্তারা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার মান উন্নয়নে প্রতিনিয়ত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অপরাধ শনাক্তকরণ এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। আজকের এই ওয়ার্কশপ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে, যা ভবিষ্যতে তাদের আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
কর্মশালায় ‘নগদ’ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাহেল আহমেদ বলেন, শুরু থেকেই নগদ দেশের আর্থিক খাতের ডিজিটালাইজেশনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। নগদ-এর চেষ্টার একটি বড় অংশ জুড়ে থাকে প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার। স্বচ্ছতার সঙ্গে ২০২১ সালে সামাজিক সুরক্ষা ভাতা তহবিলের ৭৫ শতাংশ ভাতা সফলভাবে বিতরণ করেছে ‘নগদ’।
তিনি বলেন, মাত্র আড়াই বছর সময়ে আমাদের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক অর্জন রয়েছে। এই সকল অর্জনকে অর্থবহ এবং দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে আমাদের গ্রাহক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন মোবাইল ফাইন্যান্স রিলেটেড অর্গানাইজড ক্রাইম সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডসমূহকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। আর মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে এ ধরনের ওয়ার্কশপ এবং ট্রেনিং অপরিহার্য।
‘নগদ-এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ক্রেস্ট গ্রহণ করেন বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন, বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক মো. শাহ আলম, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. মাসুদ রানা এবং কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের এডিসি সাইদ নাসিরুল্লাহ।
কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করার সময় ‘নগদ’-এর হেড অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাওসার সওকত আলী এবং জেনারেল ম্যানেজার এলইএ ডিআইজি (অব.) মাহবুব উপস্থিত ছিলেন।