অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘটে গন্তব্যে ফেরা নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রাজশাহী অঞ্চলের যাত্রীরা। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে এখন ট্রেনেরও টিকিট নেই। রাজশাহী থেকে আশপাশের জেলাগুলোতে যাওয়ার জন্যও দ্বিগুণ হয়ে গেছে সিএনজি-অটোরিকশার ভাড়া।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) রাজশাহী বাস টার্মিনাল, রেলওয়ে স্টেশন, রেলগেট সিএনজি স্টেশন এবং ভদ্রা বাস কাউন্টারে গিয়ে যাত্রীদের দুর্ভোগের এ চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাসের কাউন্টারগুলো খোলা থাকলেও কোনো টিকিট বিক্রি করা হচ্ছিল না। কাউন্টারে যাত্রীদের কাছ থেকে টিকিট ফেরত নেওয়া হচ্ছিল।
বাসের টিকিট ফেরত দিয়ে ট্রেনের টিকিট পেতে যাত্রীরা ছুটছিলেন রেলওয়ে স্টেশনে। স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, সাধারণ সময়ের চেয়ে অন্তত চারগুণ বেশি মানুষ টিকিটের আশায় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছেন। দীর্ঘ লাইন পেরিয়ে কাউন্টারে গিয়ে তারা হতাশই হচ্ছেন। কাউন্টার থেকে জানানো হচ্ছে টিকিট না থাকার কথা।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল করিম জানান, আগামী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত রাজশাহী-ঢাকা ও রাজশাহী-খুলনা রুটের কোনো টিকিট নেই। তারা এখন ৭ তারিখের পরের টিকিট বিক্রি করছেন। টিকিট না পেয়েও কেউ কেউ ট্রেনে উঠছেন। ট্রেনের টিকিট চেকাররা তাদের কাছ থেকে জরিমানাসহ ভাড়া আদায় করছেন। বাস বন্ধ থাকায় শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের, ভদ্রা বাস কাউন্টার এলাকায় নাটোরের এবং রেলগেট সিএনজি স্টেশন এলাকায় নওগাঁর যাত্রী তুলছে অটোরিকশা ও সিএনজি। প্রতিটি রুটেই যাত্রী তোলার আগেই তাদের সঙ্গে আগের চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়ার চুক্তি করে নিচ্ছেন চালকরা। অটোরিকশায় অন্য সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাওয়ার ভাড়া ৫০ টাকা। শুক্রবার ১০০ টাকা করে চাচ্ছিলেন চালকরা।
রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী জানান, তেলের দাম বৃদ্ধি করার জন্য আমরা ধর্মঘট ডেকেছি। তেলের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তাতে পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকরা সংকটে পড়েছেন। এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সরকারকে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যাত্রীদের দুর্ভোগের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে অঘোষিত বাস ধর্মঘটের পাশাপাশি বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ও ট্যাংক লরি-প্রাইম মুভার মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের ডাকে এসব পরিবহনও বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার রাজশাহীতে এসব যানবাহনও চলতে দেখা যায়নি।