করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে মহামারি প্রতিরোধে সারা দেশে চলছে টিকাদান কার্যক্রম। দেশের বেশিরভাগ মানুষ যত দ্রুত টিকার আওতায় আসবে, তত দ্রুত কমবে করোনার সংক্রমণ। সরকারের এ প্রচেষ্টাকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে চলছে টিকাদান কর্মসূচি। কারখানায় কর্মরত বিপুল পরিমাণ মানুষকে দ্রুত টিকা দিতে এ উদ্যোগ নিয়েছে দেশের সুপারব্র্যান্ড ও ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকালে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক শিল্প পার্কে শুরু করা হয় টিকাদান কর্মসূচি। এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলমগীর আলম সরকার।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইয়াছির আল-ইমরান, মোহসীন সর্দার, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম, ফার্স্ট সিনিয়র ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর তানভীর আহম্মেদ প্রমুখ।
ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানায়, সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে টিকাদান কর্মসূচি। এ কার্যক্রমে সহায়তা করছে গাজীপুর সিভিল সার্জন অফিস।
ইয়াসির আল ইমরান বলেছেন, ‘কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়কে আমরা সব সময় প্রাধান্য দিই। তারা সুস্থ থাকলেই কেবল কারখানা চালু রাখা সম্ভব। কারখানার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। টিকা কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছেন ওয়ালটনের কর্মীরা। শনিবার প্রথম দিনেই দেড় হাজার কর্মীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই দৈনিক আড়াই হাজার কর্মীকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে ওয়ালটনের।’
উল্লেখ্য, দেশে টিকাদান কর্মসূচির শুরু থেকেই কর্মীদেরকে পর্যায়ক্রমে টিকার আওতায় আনছে ওয়ালটন। এর আগে কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ‘কোভিড-১৯ বিশেষ সুরক্ষা সপ্তাহ’ পালন করেছে ওয়ালটন। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ওয়ালটন কর্মীরা বিনামূল্যে কোভিড-১৯ পরীক্ষা, টিকা রেজিস্ট্রেশন ও মেডিক্যাল সাপোর্ট ইত্যাদি সেবা পেয়েছেন।