বিশ্বকাপের ফাইনালে অতিমানবীয় এক ইনিংস খেলেছেন নিউ জিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। মাত্র ৪৮ বলে করেছেন ৮৫ রান। যেখানে ১০টি চারের পাশাপাশি ৩টি ছক্কার মার ছিল।
উইলিয়ামসনের এই ইনিংসে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। একটি অংশ পানি পানের বিরতির আগে। অন্যটি পরে। পানি পানের বিরতির আগে উইলিয়ামসন ১৮ বলে করেন ১৯ রান। স্ট্রাইক রেট ছিল ৯৪.৭৩। এরপর বদলে যান তিনি। ধারন করেন রুদ্রমূর্তি। মাত্র ২৯ বলে করেন ৬৭ রান। স্ট্রাইক রেট ছিল ২৩১.০৩।
অন্যভাবে বলা যায় জীবন পাওয়ার পর বদলে যান তিনি। মিচেল স্টার্কের করা ১১তম ওভারের চতুর্থ বলে ফাইন লেগ দিয়ে উড়িয়ে মারেন ব্ল্যাক ক্যাপস অধিনায়ক। জস হাজলেউড সেটা ধরেই ফেলেছিলেন প্রায়। কিন্তু না, তালুবন্দি করতে পারেননি। বল এক বাউন্সে বল বাউন্ডারি পার হয়ে যায়। স্টার্কের ওই ওভারে আসে ১৯ রান। তার ১৮টিই নেন উইলিয়ামসন। এরপর রীতিমতো ঝড় তোলেন তিনি।
ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে নেমে উইলিয়ামসন আজ দ্বিতীয় উইকেটে মার্টিন গাপটিলের সঙ্গে তোলেন ৪৫ বলে ৪৮ রান। এরপর গ্লেন ফিলিপসের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে মাত্র ৩৭ বলে তোলেন ৬৮ রান। আর চতুর্থ উইকেটে জিমি নিশামের সঙ্গে ৩ বলে তোলেন ৪ রান তুলে জস হাজলেউডের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে অ্যারোন ফিঞ্চের হাতে ধরা পড়ে সাজঘরে ফেরেন।
তার ৮৫ রানের ইনিংসে ভর করে নিউ জিল্যান্ড ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান সংগ্রহ করে।
বিশ্বকাপের ফাইনালে উইলিয়ামসন যৌথভাবে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন। এর আগে ২০১৬ সালের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারলন স্যামুয়েলস ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন অপরাজিত ৮৫ রান। আজ তাকে ছুঁলেন কিউই দলপতি।
তারও আগে ২০১২ সালের ফাইনালে মারলন স্যামুয়েলস শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছিলেন ৭৮ রান। ২০১৪ সালের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিরাট কোহলি করেছিলেন ৭৭ রান। আর ২০০৭ সালের ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের গৌতম গাম্ভীর করেছিলেন ৭৫ রান।