প্রায় এক মাস ধরে চলেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়ার ট্রফি জয়ের মাধ্যমে শেষ হয়েছে সপ্তম আসর। পরের দিন সোমবার (১৫ নভেম্বর) এই প্রতিযোগিতায় খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স বিবেচনায় সেরা একাদশ ঘোষণা করেছে আইসিসি, যাকে অফিসিয়াল ভাষায় বলা হচ্ছে ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল টিম অব দ্য টুর্নামেন্ট’।
চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, রানার্সআপ নিউ জিল্যান্ড, সেমিফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা এই দলে জায়গা পেয়েছেন, যার নেতৃত্বে পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজম। নেই কোনো বাংলাদেশের খেলোয়াড়।
চ্যাম্পিয়ন দলের ডেভিড ওয়ার্নার, লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা ও সিমার জশ হ্যাজেলউড একাদশে। এই আসরের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান ইংল্যান্ডের জস বাটলার এই দলের উইকেটকিপার। নিউ জিল্যান্ডের বাঁহাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট ও শ্রীলঙ্কার তারকা ও প্রতিযোগিতার শীর্ষ বোলার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা আছেন এই দলে। দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে জায়গা পেয়েছেন পাকিস্তানের শাহীন শাহ আফ্রিদি।
ধারাভাষ্যকার, সাবেক আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় ও সাংবাদিকদের নিয়ে গড়া বাছাই প্যানেল এই একাদশ চূড়ান্ত করেছে।
আইসিসির সেরা একাদশ (ব্যাটিং অর্ডার অনুযায়ী)
ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া)- ২৮৯ রান, ৪৮.১৬ গড়
জস বাটলার (উইকেটকিপার, ইংল্যান্ড)- ২৬৯ রান, ৮৯.৬৬ গড়, পাঁচ ডিসমিসাল
বাবর আজম (অধিনায়ক, পাকিস্তান)- ৩০৩ রান, ৬০.৬০ গড়
চারিথ আসালানকা (শ্রীলঙ্কা)- ২৩১ রান, ৪৬.২০ গড়
এইডেন মার্করাম (দক্ষিণ আফ্রিকা)- ১৬২ রান, ৫৪.০০ গড়
মঈন আলী (ইংল্যান্ড)- ৯২ রান, স্ট্রাইক রেট ১৩১.৪২, ১১ গড়ে সাত উইকেট
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা)- ১৬ উইকেট, ৯.৭৫ গড়
অ্যাডাম জাম্পা (অস্ট্রেলিয়া)- ১৩ উইকেট, ১২.০৭ গড়
জশ হ্যাজেলউড (অস্ট্রেলিয়া)- ১১ উইকেট, ১৫.৯০ গড়
ট্রেন্ট বোল্ট (নিউ জিল্যান্ড)- ১৩ উইকেট, ১৩.৩০ গড়
আনরিখ নর্টিয়ে (দক্ষিণ আফ্রিকা)- ৯ উইকেট, ১১.৫৫ গড়