যুবরাজ সিং দীর্ঘদিন ধরে নিজের রাজত্ব ভোগ করছিলেন। যুব বিশ্বকাপ, ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা একমাত্র ক্রিকেটার ছিলেন তিনি।
রোববার নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। দলকে বিশ্বকাপ জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন মিচেল মার্শ ও জস হ্যাজেলউড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে এই দুই অজি ক্রিকেটার যুবরাজের সেই রাজত্বে ভাগ বসালেন। যুব বিশ্বকাপ, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা কীর্তি এই তিন ক্রিকেটারের। ত্রয়ীর এই অর্জন নিশ্চিতভাবে ক্যারিয়ারের বিশাল এক মাইলফলক।
অবসরে যাওয়া যুবরাজ ২০০০ সালে জিতেছিলেন যুব বিশ্বকাপ। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারত। সেই বিশ্বকাপে যুবরাজ নিজের ব্যাটিং কারিশমায় মুগ্ধ করেছিলেন। ২০১১ সালে ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতে ভারত। সেই বিশ্বকাপে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছিলেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
মার্শ ও হ্যাজেলউডের বয়সভিত্তিক ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চলাফেরা প্রায় একই সঙ্গে। ২০১০ সালে দুজন জিতেছিলেন যুব বিশ্বকাপ। এরপর ঘরের মাঠে ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। মাইকেল ক্লার্কের অন্যতম দুই সেরা অস্ত্র ছিলেন তারা দুজন। মার্শ ইনজুরি ও নানা কারণে অস্ট্রেলিয়া দলের আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন। কিন্তু হ্যাজেলউড টেস্ট ও ওয়ানডে দলে ছিলেন নিয়মিত মুখ।
শুরুতে টি-টোয়েন্টি না খেললেও এই সংস্করণে দ্রুতই জায়গা করে নেন হ্যাজেলউড। মার্শ গত জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে দলে ফিরে ব্যাটিংয়ে স্তম্ভ হয়ে উঠেছেন। ফাইনালে ৭৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছেন বিশ্বকাপ।
আর হ্যাজেলউডের কিপটে বোলিংয়ের সঙ্গে ৩ উইকেট ছিল পরিস্থিতি বিবেচনায় অসাধারণ। সব মিলিয়ে তাদের শোকেসে উঠেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
যুবরাজ, মার্শ ও হ্যাজেলউডের এই অনন্য অর্জন নিশ্চিতভাবে তাদের গর্বিত করছে। তিনটি আইসিসি ইভেন্ট জেতা চাট্টিখানি কথা তো নয়।