২০২০-২১ অর্থবছরে প্রাথমিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। টাকার অংকে তা ২৭ হাজার ৯৩৯ বিলিয়ন।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রাথমিক হিসাবে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। টাকার অংকে তা ছিল ২৬ হাজার ৫০১ বিলিয়ন। ২০১৫-১৬ অর্থবছরকে ভিত্তি বছর ধরে এই হিসাব দিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সামনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
বৈঠকে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘নতুন ভিত্তি বছর ধরায় জিডিপি হিসাবে বিভিন্ন পণ্যের জাল বিস্তৃত হয়েছে। ফলে মাথাপিছু আয় বেড়েছে।’
এদিকে, বিবিএসের হিসাবে বলছে, ২০০৫-৬ ভিত্তি বছর হিসাবে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রাথমিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এ সময় টাকার অংকে জিডিপি হয়েছে ১২ হাজার ৭২ বিলিয়ন টাকা। নতুন ভিত্তি বছর অনুযায়ী দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৪ মার্কিন ডলার (২ লাখ ১৬ হাজার ৫৮৯ টাকা)। পুরনো ভিত্তি বছর ২০০৫-৬ অনুযায়ী মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২৭ ডলার (১ লাখ ৮৮ হাজার ৮৭৩ টাকা)।
কৃষি খাত: ২০১৫-১৬ ভিত্তি বছর ধরে কৃষি খাতে জিডিপি নিরূপণের জন্য এ খাতের অন্তর্ভুক্ত সব তথ্যের সঙ্গে শস্য উপ-খাতে প্রায় ২০টি নতুন ফসল যেমন ড্রাগন ফল, স্ট্রবেরি, ক্যাপসিকাম, লটকন, কচুশাক, শরুফা, মাল্টা ইত্যাদি যোগ হয়েছে। গবাদি পশু ও হাঁস মুরগরি মাংসের উৎপাদনের তথ্য, বন খাতে নতুন জরিপ তথ্যসহ অন্যান্য হালনাগাদ তথ্যও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সার্বিকভাবে চলতি মূল্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কৃষি খাতে মূল্য সংযোজনের আকার ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
শিল্প খাত: এর আগে জিডিপি নিরূপণের জন্য এ খাতের অন্তর্ভুক্ত সব তথ্যের সঙ্গে নতুন উৎপাদন শিল্পপ্রতিষ্ঠান জরিপ (এসএমআই) ও নির্মাণ খাত জরিপের হালনাগাদ তথ্য, বাড়ি থেকে ময়লা বর্জ্য সংগ্রহের তথ্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সার্বিকভাবে চলতি মূল্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে শিল্প খাতে মূল্য সংযোজোনের আকার ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সেবা খাত: জিডিপি নিরূপণের জন্য এর আগে এ খাতের অন্তর্ভুক্ত সব তথ্যের সঙ্গে পরিবহন খাতের নতুন জরিপ, উবার, পাঠাও, নতুন বেসরকারি হেলিকপ্টার সংস্থার তথ্য, রিয়েল এস্টেট খাতের নতুন জরিপ, মোবাইল ব্যাংক, এজেন্ট ব্যাংকিং, সরকারের অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের হালনাগাদ তথ্য নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সার্বিকভাবে চলতি মূল্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সেবা খাতে মূল্য সংযোজনের আকার ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ।