আর একদিন পর কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। তার আগে তার বিরুদ্ধে উঠেছে ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযোগকারী কিউবার ৩৭ বছর বয়সী এক নারী। নাম তার মাভিস আলাভারেজ রেগো। তিনি দাবি করেছেন ২০ বছর আগে তাকে ধর্ষণ করেছিলেন ম্যারাডোনা। তখন তার বয়স ছিল ১৬ বছর। মৃত্যুবার্ষিকীর আগে এমন অভিযোগে রীতিমতো উত্তাল ফুটবল বিশ্ব।
কিউবান ওই নারী আর্জেন্টিনায় এসে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি ন্যায় বিচার পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। সে লক্ষ্যে তিনি দ্বারস্থ হয়েছেন আর্জেন্টিনার মিনিস্ট্রি অব জাস্টিস কোর্টের।
সোমবার বুয়েন্স এইরেসে এক সংবাদ সম্মেলনে মাভিস দাবি করেছেন, ২০ বছর আগে ১৬ বছর বয়সে ম্যারাডোনার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। চল্লিশোর্ধ্ব ম্যারাডোনা তখন কিউবায় ছিলেন মাদকের চিকিৎসা নিতে। সেখানকার একটি ক্লিনিকে একদিন ম্যারাডোনার সাথে সাক্ষাৎকালে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন।
মাভিস বলেন, ‘আমি তাকে ভালোবাসি। পাশপাশি তাকে ঘৃণাও করি। ম্যারাডোনা আমার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করেছিল। ওই ঘটনা মনে পড়লে আজও আমি আঁতকে উঠি। মেয়ে হিসেবে আমি তাকে থামানোর যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু পারিনি। সেদিন আমার সর্বস্ব হারিয়েছিলাম। খুব কঠিন পরিস্থিতি ছিল ওটা। এমন ভয়াবহ ঘটনা কোনো ছোট মেয়ের সঙ্গে ঘটলে কার্যত সে সবই হারিয়ে ফেলে। ওই ঘটনার পর এমনকি আমি আত্মহত্যা করার কথাও ভেবেছিলাম।’
মাভিস আরও জানিয়েছেন সে সময় ম্যারাডোনার সঙ্গে কিউবার সরকারের ভালো সম্পর্ক থাকায় তার পরিবার এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিল।
এতো বছর পর কেন তিনি বিচারের দাবি তুললেন? এ বিষয়ে মাভিস জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী তার মতো এমন অনেক নারী দিনের পর দিন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তাদের শৈশব বিভীষিকাময় হচ্ছে। তাদের পাশে দাঁড়াতে চান তিনি। যাতে করে তাদের মেয়েবেলা কেউ কেড়ে নিতে না পারে।
পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন ম্যারাডোনা জীবিত থাকার সময় তার জন্য অনেক কঠিন ছিল আর্জেন্টিনায় এসে বিচারের দাবি জানানো। কারণ, জীবিত অবস্থায় তিনি যে ছিলেন সবার হিরো।
অবশ্য মাভিসের করা এই অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ম্যারাডোনার আইনজীবি।