ডিমের ভিতর ডিম। বিষয়টি আজব হলেও গুজব নয়। ডিম ভাঙার পর ভিতরে একটি কুসুম এবং আরও একটি ডিম তার ভিতরও আরেকটি কুসুম পাওয়া গেছে।
হ্যাঁ, এমনই ঘটনা ঘটেছে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার পল্লীতে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে বেশ কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া ইউনিয়নের আংগারদহা গ্রামের জাকির হোসেন মোড়লের স্ত্রী গৃহবধূ তানজিলা বেগম একই গ্রামের ইঞ্জিনিয়ার ফারুক আহমেদের মুরগির ফার্ম থেকে মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) কয়েকটি ডিম ক্রয় করেন।
তিনি ওই ডিম তার সন্তানকে ভেজে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ভাঙা মাত্রই দেখতে পান তার মধ্যে স্বাভাবিক একটি কুসুম এবং সাদা খোসাসহ আরও একটি ডিম। কৌতুহল বশত: ওই ডিমটি ভাঙ্গলে তার মধ্যেও আরও একটি কুসুম পাওয়া যায়। এর সঙ্গে কিছু জমাট বাঁধা রক্তও ছিল। বিষয়টি আশ্চার্যজনক হওয়ায় তিনি বাড়ির লোকজনকে ডেকে দেখান। মুহূর্তের মধ্যে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের লোকজনও বিষয়টি দেখার জন্য তাদের বাড়িতে ভিড় জমান।
গৃহবধূ তানজিলা বেগম বলেন, ‘আমরা তো ডিম ভাঙলে সাধারণত ভিতরে একটি কুসুম পাই। তবে, অনেক সময় একটি ডিমের ভিতর দু’টি কুসুমও পাওয়ার কথা শোনা যায়। কিন্তু একটি ডিমের ভিতরে কুসুম এবং আরও একটি ডিম আবার তার মধ্যেও কুসুম থাকে- তা কখনও শুনিনি। আর দেখা তো দূরের কথা। কিন্তু আমার নিজের হাতেই এ দৃশ্য দেখে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারিনি। আসলেই ঘটনাটি আশ্চার্যজনক। পরে ডিমটি আমি না ভেজে রেখে দেই। যদিও লোকজন দেখার পর ফেলে দেই।’
স্থানীয় বাসিন্দা গণমাধ্যম কর্মী এম. সেলিম আবেদ বলেন, ‘তারই ছোট ভাইয়ের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। এ দৃশ্য দেখে তিনি নিজেও বেশ অবাক হয়েছেন। বিষয়টি মূহূর্তেই ছড়িয়ে পড়লে এলাকার মানুষের মধ্যে এক ধরনের কৌতুহলের সৃষ্টি হয়।’
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা সুলতানা রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘এটি বায়োলজিক্যাল সিস্টেমের কারণে হতে পারে। ওই ডিমের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবেই ক্যালসিয়ামের দু’টি লেয়ার তৈরি হয়েছে। এ কারণে একটির মধ্যে আরও একটি ডিম তৈরি হয়েছে। এটি অতিপ্রাকৃতিক বা অতি আশ্চর্যের মত তেমন কিছু নয়। তবে, বিষয়টি সচারচর না হওয়ায় অনেকের কাছেই অবাক মনে হতে পারে।’