করোনাভাইরাসের নতুন ধরনে আক্রান্ত দুই রোগীর সন্ধান মিলেছে হংকংয়ে। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) হংকং কর্তৃপক্ষ এতথ্য জানায়। বিজ্ঞানীদের ধারণা, ভাইরাসের নতুন ধরনের কারণে করোনার টিকার কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন ধরনটি শনাক্ত হয়। এই ধরনটি বারবার জীনগত রূপ বদলাতে সক্ষম বলে জানান বিজ্ঞানীরা। তাদের ধারণা, এর কারণে করোনা সংক্রমণের বিস্তার দ্রুত ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হংকং কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরা এক ব্যক্তির শরীরে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়। পরে তাকে একটি হোটেলে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এরপর ওই হোটেলের একই ফ্লোরে থাকা অপর এক ব্যক্তির শরীরেও করোনার এ ধরনটির সন্ধান মেলে।
হংকংয়ের সেন্টার ফর হেলফ প্রোটেকশন জানায়, দুই রোগীর মধ্যেই ভাইরাসের জীনগত রূপ একই দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে বাতাসের মধ্যমেই তারা আক্রান্ত হয়েছেন। সংস্থাটির দাবি, ওই দুই ব্যক্তি করোনা টিকা নেওয়া সত্ত্বেও আক্রান্ত হয়েছেন।
হংকং বিশ্ববিদ্যালয় ভাইরাস পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছে যে, এই ধরনটির সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া করোনার নতুন ধরনটির মিল রয়েছে।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত করোনার নতুন ধরনটির প্রাথমিক নাম দেওয়া হয়েছে বি.১.১.৫২৯। দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীদের দাবি, ভাইরাসটি ভাইরাসটি বহুবার নিজের মধ্যে রূপান্তর ঘটাতে পারে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জো ফাহলা জানান, এই ধরনটি অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ হতে চলেছে। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যাপক হারে সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে এটি দায়ী।
চলতি মাসের প্রথম দিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনায় দৈনিক সংক্রমণের গড় ছিল প্রায় ১০০। কিন্তু বুধবার দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ২০০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।
সূত্র: দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস