আইপিএলের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যানদের একজন ডেভিড ওয়ার্নার। সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল সময় কাটিয়েছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সঙ্গে। আইপিএল জয়ী অধিনায়ককে ছেড়ে দিয়ে সাত মৌসুমের সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলল ২০১৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
মঙ্গলবার রিটেনশন খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ করে হায়দরাবাদ। সেখানে প্রত্যাশিতভাবে ছিল না সদ্য অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক ওয়ার্নার। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দিল্লি ডেয়ারডেভিলসে খেলেন। ২০১৪ সালের নিলামে নতুন দল হায়দরাবাদে যোগ দেন। পরের বছর অধিনায়কত্ব পেয়ে টুর্নামেন্টের শীর্ষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মৌসুম শেষ করেন। আর ২০১৬ সালে তো প্রথম শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দিয়ে ফেললেন।
২০১৮ সালেও তাকে রেখে দিয়েছিল হায়দরাবাদ। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় বল টেম্পারিং কাণ্ডে অধিনায়কত্ব ছাড়েন এবং আইসিসি জানায় ওই আইপিএল খেলতে পারবেন না তিনি। অবশ্য আবারো টুর্নামেন্টে তিনি ফিরে আসেন হায়দরাবাদের জার্সিতেই। ২০২০ সালে প্রথম বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে আইপিএলে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক ছোঁন। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে হারে অল্পের জন্য হয়নি ফাইনালে খেলা।
কিন্তু এই বছর পুরোপুরি হতাশ করেন ওয়ার্নার। প্রথম ছয় ম্যাচে মাত্র একটি জয় পায় হায়দরাবাদ, যার মাশুল দিতে হয় কেন উইলিয়ামসনের কাছে অধিনায়কত্ব হারিয়ে। আমিরাত পর্বে তো দুই ম্যাচ খেলেই বাদ পড়লেন। পরে বিষাদভরা কণ্ঠে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, আর হয়তো এই মৌসুমে হায়দরাবাদের জার্সিতে দেখা যাবে না তাকে।
কিন্তু ৩৫ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানকে নতুন মৌসুমের জন্য দলেই রাখল না হায়দরাবাদ। খবরটি ছড়িয়ে যেতেই রশিদ খান ও কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে একটি পুরোনো ছবি দিয়ে ওয়ার্নার টুইটারে লিখলেন, ‘এই অধ্যায় শেষ। গত কয়েক বছর ধরে সমর্থন দেওয়ার জন্য সব ভক্তদের জানাই ধন্যবাদ। অনেক দারুণ ছিল এটা।’
হায়দরাবাদ অধিনায়ক উইলিয়ামসন, আব্দুল সামাদ ও উমরান মালিককে রেখে দিলেও ওয়ার্নারের সঙ্গে ছেড়ে দিয়েছে রশিদ ও জনি বেয়ারস্টোকে।
রশিদও বিদায়ী বক্তব্য দিয়েছেন, ‘হায়দরাবাদের সঙ্গে এটা ছিল চমৎকার যাত্রা। আপনাদের সমর্থন, ভালোবাসা ও আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ। অরেঞ্জ আর্মি আপনারা ছিলেন আমার শক্তির খুঁটি এবং এত অসাধারণ ভক্তদের জন্য আমি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।’