দেশের মাটিতে, উপমহাদেশে কিংবা বিদেশে, চেনা পরিবেশ কিংবা অচেনা, পেস উইকেট কিংবা স্পিন উইকেট; সাদাপোশাকে বাংলাদেশ দল যেখানেই খেলতে নামুক না কেন চিত্র একটাই- হতশ্রী পারফরম্যান্স। বিব্রতকর ব্যাটিংয়ের সঙ্গে নির্বিষ বোলিং, ফলাফল বড় ব্যবধানে হার।
২১ বছর ধরে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ। কিন্তু যেন পেশাদারিত্বের অভাব ক্রিকেটারদের মধ্যে। পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান সিরিজের প্রথম টেস্টেও দেখা গেছে একই চিত্র, দুই ইনিংসের শুরতেই বাজে ব্যাটিং। প্রথম ইনিংসে ৪৯ রান স্কোরবোর্ডে জমা না হতেই নেই চার উইকেট, আর দ্বিতীয় ইনিংসে আরো বাজে অবস্থা। ২৫ রানে প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে হারায় বাংলাদেশ।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুমিনুল হককে পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। তখনই দলনেতা জানালেন, ধানক্ষেতেও পেশাদার ক্রিকেটারদের ভালো খেলতে হবে।
মুমিনুল বলেন, ‘পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে উইকেট কিংবা এগুলো নিয়ে অজুহাত দেওয়া কাম্য নয়। এটাতে আমি নিজেও একমত নই। যদি ধানক্ষেতেও খেলতে দেওয়া হয়, পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে সেখানেও আপনাকে ভালো খেলতে হবে। আমার মনে হয়, এসব নিয়ে অজুহাত না দিয়ে জেতার জন্য আরেকটু পেশাদারিত্ব দেখালেই ভালো হয়।‘
পরিসংখ্যানে চোখ বুলালেই দেখা মিলবে করুণ চিত্রের। এখন পর্যন্ত ১২৫টি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র ১৫টিতে। ড্র করেছে ১৭টি ম্যাচে। আর বাকি ৯৩ ম্যাচে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে।
আর শেষ ১০টি টেস্টে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে মাত্র দুটিতে আর ড্র একটি। এই ১০ ম্যাচ বাংলাদেশ উপমহাদেশে নিজেদের কন্ডিশনে খেলেছে। ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো দলগুলোর বিপক্ষে নিজেদের মতো কন্ডিশন হওয়া সত্বেও লড়াই জমিয়ে তুলতে পারেনি।
মুমিনুল মুখে বলেছেন পেশাদারিত্বের কথা, কিন্তু এটি মাঠে বাস্তবায়ন হবে কবে থেকে, কে-ই বা দেখাতে পারবেন?