অর্থনীতি

এফবিসিআই’র ১০ বছরের মাস্টারপ্ল্যান

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার পর বাংলাদেশের জন্য অসংখ্য সম্ভাবনা তৈরি হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও রপ্তানি খাতে চাহিদা তৈরি হবে নতুন পণ্যের। অর্থনীতির আকারও বড় হবে। সরকারের নানা অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ হলে বিদেশি বিনিয়োগও বাড়বে। তখন পণ্য পরিবহন ও বন্দরের সক্ষমতাও বাড়াতে হবে। এসব কিছু বিবেচনা করে আগামী দশকে অর্থনীতির চাহিদার সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় কর্মকৌশল নির্ধারণ করতে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এফিবিসিসিআই আয়োজিত ১৬ দিনব্যাপী ‘বিজয়ের ৫০ বছর, লাল সবুজের মহোৎসব’ এর বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলেন করা হয়। এ সময় ১৬ দিনব্যাপী উৎসবের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি।

তিনি জানান, এলডিসি-পরবর্তী পরিবর্তিত বৈশ্বিক চাহিদা মোকাবিলায় খাতভিত্তিক সক্ষমতা বৃদ্ধি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা বাড়াতে একটি ইনোভেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে এফবিসিসিআই। আগামী মাসেই এ সংক্রান্ত ধারণাপত্রটি সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ নিয়ে এফবিসিসিআই’র সঙ্গে কাজ করছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। এ কার্যক্রম শেষ হলে দেশে বর্জ্য দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পুণঃপ্রক্রিয়াজাতকৃত পণ্যের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

সংবাদ সম্মেলেন সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সফরের প্রসঙ্গ তুলে ধরে এফবিসিসিআই সভাপতি জানান, বাংলাদেশি প্রবাসীদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্ম দেশ দুটির মূল অর্থনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত হয়েছে। কিন্তু, তাদের বাংলাদেশ সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে ওইসব প্রবাসী উদ্যোক্তাদের যুক্ত করতে পারলে দেশ দুটির মূল বাজার ধরা সহজ হবে। এ লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের মূল ধারার বাণিজ্য সংগঠনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে এফবিসিসিআই।

এছাড়া, তৈরি পোশাকের বাইরে নতুন নতুন সম্ভাবনাময় পণ্যের তালিকা, সেগুলো রপ্তানির সুযোগ ও প্রতিবন্ধকতা বিষয়ে গবেষণা করতে এইচএসবিসির সঙ্গেও সমঝোতা স্মারক সই করেছে এফবিসিসিআই। এসব কার্যক্রমের ফলে এলডিসি পরবর্তী সময়ের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি আরও বেগবান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, মো. আমিনুল হক শামীম, মো. আমিন হেলালী, মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ ও এম এ রাজ্জাক খান রাজ এবং বর্তমান কমিটির পরিচালকরা।