বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে হতাশ টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। দলের সঙ্গে নেই তিনি। এজন্য জানেন না দলের ব্যাটিং পরিকল্পনা। মিরপুর শের-ই-বাংলার প্রেসিডেন্ট বক্সে বসে দেখেছেন ব্যাটসম্যানদের বিপর্যয়। হতশ্রী ব্যাটিংয়ের পর তার একটাই প্রশ্ন, ‘কেনো ব্যাটসম্যানদের এতো তাড়াহুড়ো?’
প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ৪ উইকেটে ৩০০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নেমে স্পিনার সাজিদের ঘূর্ণিতে আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেয়। ৭১ রান তুলতেই হারায় ৭ উইকেট। স্বাগতিকরা দিন শেষ করেছে ৭৬ রান। ফলোঅন এড়াতে প্রয়োজন আরও ২৫ রান।
বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের উইকেটে টিকে থাকার পরিবর্তে আগ্রাসী মনোভাব ছিল ব্যাটিংয়ে। সর্বোচ্চ ৩০ রান করা শান্তর ব্যাখ্যা, এমন উইকেটে রক্ষণাত্মক ব্যাটিং করা কঠিন। আগ্রাসী মনোভাবে ব্যাটিং করলেই রান পাওয়া সম্ভব।
চতুর্থ দিনের খেলা শেষে খালেদ মাহমুদ বলেছেন, কেনো এমন (ব্যাটিং) হলো জানি না। অধৈর্য ব্যাপারটা ছিল। টেস্ট ব্যাটিং বলতে যা বুঝায় সে রকম ব্যাটিং করিনি আমরা। কেনো এই ব্যাপারটা হচ্ছে সেটা চিন্তার বিষয়। উইকেটে স্পিন হচ্ছিল এবং ওরা ভালো স্পিনও করেছে কিন্তু আমাদের তো কোয়ালিটি স্পিন খেলার সামর্থ্য আছে। হয়নি কেনো বা এত তাড়াহুড়ো কেনো সেটা জানি না। পাকিস্তান যেভাবে ব্যাটিং করেছে, বিশেষ করে আজহার আলি যেভাবে লম্বা সময় ব্যাট করলো সেখান থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত ছিল।
ঘরের মাঠেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা প্রতিপক্ষের আক্রমণে পথ ভুলেছে। বৃহস্পতিবারই দল যাবে নিউ জিল্যান্ডে। সেখানে খেলবে দুটি টেস্ট। কন্ডিশন পুরোপুরি বিরুদ্ধ। এর আগে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৩২ ম্যাচ খেলে জিততে পারেননি কোনটিতেই। ভালো কিছুর আশা করা কি সম্ভব?
খালেদ মাহমুদ আশার কথা শোনালেন, আমি নেতিবাচক কিছু বলব না। কারণ নিউ জিল্যান্ডে তো অনেকবারই বাংলাদেশ খেলেছে। অতীত দেখলে কোনটাতেই আমরা নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারিনি। আর শুধু বাংলাদেশ না, এশিয়ার যে কোনও দলের জন্যই নিউ জিল্যান্ডের কন্ডিশন কঠিন হয়। কিন্তু এটা অজুহাত না, আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।