সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করাসহ চার দফা দাবি জানিয়ে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) শাহাবাগে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। অবস্থান কর্মসূচি থেকে তারা চারটি দাবি তুলে ধরেন।
তাদের দাবিগুলো হলো- সব চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বাড়াতে হবে; নিয়োগ দুর্নীতি ও জালিয়াতি বন্ধ করতে হবে, নিয়োগ পরীক্ষার (প্রিলি ও রিটেন) প্রাপ্ত নম্বরসহ ফলাফল প্রকাশ করতে হবে; চাকরিতে আবেদনের ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা করতে হবে এবং একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর হলেও বিসিএস স্বাস্থ্য, জুডিশিয়ারি ও বিদ্যমান কোটার ক্ষেত্রে ৩২ বছর পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ রয়েছে। তাই সংবিধান অনুযায়ী বয়স বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি।
তারা বলেন, ২০১১ সালের সাধারণ চাকরিজীবীদের অবসরের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৬০ বছরে উন্নীত করা হয়। কিন্তু সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ১৯৯১ সালে যখন গড় আয়ু ৫৭ বছর ছিল তখন শেষবারের মতো ২৭ থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়। এই ৩০ বছরে গড় আয়ু ১৮ বছর বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছর হলেও বৃদ্ধি হয়নি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা।
এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর হলেও কোটাধারীদের ক্ষেত্রে তা ৩২ বছর। জুডিশিয়ারি পরীক্ষার ক্ষেত্রেও তাই সংবিধান অনুযায়ী বয়স বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি।
চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি ছিল পরিস্থিতি অনুযায়ী বাস্তবতার নিরিখে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধিতে যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু মাঝে করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে প্রায় দুই বছর হারিয়ে গেলেও তিন বছর আগে ছাত্র সমাজকে দেওয়া সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। ইশতেহারের বাস্তবায়ন যুব সমাজের প্রাণের দাবি।
এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি যদি ৭৫ বছর বয়সেও নানা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করতে পারেন, আমাদের কেন ত্রিশের শেকলে বন্দি করে রাখছেন? আমাদের বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী যদি আমাদের করুণ অবস্থার কথা জানতেন তিনি ব্যবস্থা নিতেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত আমাদের এই যৌক্তিক দাবি পৌঁছে দেওয়ার কেউ নেই। প্রধানমন্ত্রী আমরা আপনার সন্তান, আমাদের বাঁচান।