দারুণ বোলিংয়ে প্রস্তুতি সারলেন পেসার আবু জায়েদ রাহী ও তাসকিন আহমেদ। দুই ডানহাতি পেসারের আগুন ঝরা বোলিংয়ে রীতিমতো এলোমেলো নিউ জিল্যান্ড একাদশ।
নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে সবশেষ সফরে তাসকিন গতি ও বৈচিত্র্য দিয়ে নিজের সামর্থ্য দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। আজ সেই ক্যানভাসে যেন তুলির আঁচড় দিলেন ডানহাতি পেসার। সঙ্গে যোগ দিলেন রাহী। দুজনের ধ্রুপদী বোলিংয়ে দুদিনের প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিন ৫ উইকেটে ৭১ রান তুলেছে স্বাগতিক দলটি। বৃষ্টির কারণে পণ্ড হওয়া দিনে মাত্র ২৭.৩ ওভার খেলা হয়েছে।
নতুন বলে তাসকিনের শুরুটা ছিল আঁটসাঁট। লুক জার্গেনসন প্রথম ওভারে কোনো রান নিতে পারেননি। রাহীও সতীর্থর দেখানো পথে হেঁটে চাপে রাখেন ব্যাটসম্যানদের। তার হাত ধরেই আসে প্রথম সাফল্য। ষষ্ঠ ওভারে রাহীর বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন জার্গেনসন। নতুন ব্যাটসম্যান ডেভন কনওয়েকেও টিকতে দেননি। এক বল পর লিটনের তালুবন্দি করিয়ে কনওয়েকে ফেরান রাহী।
দ্যুতিমত তাসকিন উইকেটের খাতা খোলেন নিজের চতুর্থ ওভারে। জেমি কামিংকে উইকেটের পেছনে তালুবন্দি করান তাসকিন। ৭ বলে ৩ উইকেট নেই কিউইদের।
ধারাবাহিক আক্রমণে সেই চাপ অব্যাহত রাখলেও উইকেট মেলেনি। দেয়াল হয়ে দাঁড়ান রেনউইক ও বয়লে। তাসকিন ও রাহীর প্রথম স্পেলের পর শরিফুল ও শহীদুল সেই ধারা অব্যাহত রাখেন। লাইন ও লেন্থ ঠিক রেখে আক্রমণ চালান তারা।
২২তম ওভারে তাসকিন ফেরেন দ্বিতীয় স্পেলে। প্রথম বলেই পেয়ে যান দ্বিতীয় উইকেট। ৪৭ বলে ২০ রান করে বয়লে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। বৃষ্টির আগে রাহীর তৃতীয় শিকার রেনউইক। ৬০ বলে ১৮ রান করেন তিনি। এরপর মাত্র ৫ বলে শেষ হয় দিনের খেলা।
কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে নতুন বলে ভালো বোলিং করে তৃপ্ত রাহী, ‘প্র্যাকটিস সেশন আমরা যতখানি পেয়েছি ততটুকুই কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। নিউ জিল্যান্ডের যে বোলিং কন্ডিশন ছিল সেভাবেই বোলিং করতে পেরেছি। এটা আমাদের জন্য অনেক ভালো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো কথা হলো, অনেকদিন পর আমরা বোলাররা নতুন বলে ভালো জায়গায় বোলিং করতে পেরেছি। সব মিলিয়ে আমরা বোলাররা ভালো জায়গায় বোলিং করেছি।’
১ জানুয়ারি মাউন্ট মঙ্গানুইতে টেস্ট খেলতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। পেসাররা যে ধারাবাহিকতা ও আগুন ঝরা বোলিংয়ে প্রস্তুতি সারলেন তাতে তাদের থেকে ভালো কিছুর প্রত্যাশা করাই যায়।