ঢাকার সাভারে তুরাগ নদে রোববার একটি মৃত ডলফিন ভেসে উঠার ১২ ঘণ্টা পর আরেকটি শুশুক প্রজাতির মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে। এটির ওজন প্রায় ৫ মণ।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে তুরাগ নদের আশুলিয়া ফেলাঘাট এলাকায় ডলফিনটি দেখতে পেয়ে তীরে উঠিয়ে আনেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার বলেন, গতকাল বিকেলে তুরাগ নদের আশুলিয়া বাজার ঘাটে মাছ ধরছিলেন কিছু জেলে। এসময় বিশাল আকারের ডলফিনটিকে মৃত ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান তারা। পরে জাল দিয়ে ডলফিনটি তীরে তুলে আনা হয়। ডলফিনটির মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিলো। মূলত নদীর পানিতে শিল্প কারখানার নির্গত মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক মিশ্রিত থাকায় ডলফিনটি মারা গেছে।
এর আগে কখনও এই নদীতে ডলফিন দেখা যায়নি। তাই মৃত ডলফিনটি দেখতে তীরে অনেক মানুষ ভিড় করেছিল। পরে রাত ১২টার দিকে কে বা কারা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে একটি মাইক্রো বাসে ডলফিনটি নিয়ে চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, এরপর আজ দুপুরে তুরাগ নদে আশুলিয়ার ফেলাঘাট এলাকায় মৃত আরেকটি ডলফিন ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে জেলেদের সহায়তায় এটি তীরে উঠিয়ে আনি।
সাভার উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম সরকার বলেন, গতকাল পাওয়া মৃত ডলফিনটির ছবি দেখে বুঝেছি, এটা গ্যাংগিজ ডলফিন বা বাংলায় হলো গাঙ্গের শুশুক। পদ্মা ও যমুনা নদীতে এর অভয়াশ্রম ছিলো এক সময়। মূলত এরা স্তন্যপায়ী জাতীয় প্রাণী। তবে এই অঞ্চলে গত ১০-১৫ বছরের মধ্যে এরকমের শুশুক দেখা যায়নি বা শোনা যায়নি। তবে বুড়িগঙ্গাতে ওই সময় দেখা যেত। হয়ত কোনভাবে বুড়িগঙ্গায় এসেছিলো।
তিনি বলেন, গতকাল রাতে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কে বা কারা মাইক্রো বাসে শুশুকটি নিয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছি। যেটা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের একজন গবেষকের মাধ্যমে গবেষণার জন্য পাঠানোর কথা ছিলো। তবে আজকের পাওয়া শুশুকটি আমাদের নজরদারিতে আছে। আমরা ওই গবেষকের কাছে শুশুকটি পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। তার মাধ্যমেই কেন মৃত শুশুক তুরাগে ভেসে উঠছে সেই কারণ জানার চেষ্টা করছি। বিষয়টা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি আমরা।