নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই দেখা গেছে নগরীর বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপচে পড়া ভিড়। উৎসবমুখর পরিবেশে সবাই ভোট দিচ্ছেন।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ, চলবে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। মাঘের হাড় কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে নারী ও পুরুষ ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে হাজির হয়েছেন। ভোটকেন্দ্রের বাইরেও রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। সবাই মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীর জন্য ভোট চাইছেন।
২৮ ও ৯ নং আদর্শ বালক বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছেন হালিমা আরা। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ইভিএমে ভোট হবে। জীবনে প্রথম ইভিএমে ভোট দিতে এলাম। তাই তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে বের হয়েছি।
এদিকে এর আগে নির্বাচন সম্পর্কে ইসি’র যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান জানান, নির্বাচন উপলক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্বাচনী উপকরণ কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছানো হয়েছে। নির্বাচনের পরিবেশ শান্ত রাখতে মাঠে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে।
না.গঞ্জ সিটি ভোট একনজরে:
মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়াল ঘড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল ইসলাম (ঘোড়া), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার (হাতি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাত ঘড়ি)।
৯টি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৩৪ জন এবং ২৭টি সাধারণ সদস্য পদে ১৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।
ভোটকেন্দ্র ১৯২টি, ভোটকক্ষ ১,৩৩৩টি, ইভিএম- ২,৯১২ ইউনিট, স্মার্টবুথ: ২টি কেন্দ্র, মডার্ণ গার্লস স্কুল (১২৩ ও ১২১ কেন্দ্র), ওয়ার্ড নম্বর- ৬।
ভোটার: ৫,১৭,৩৬১ জন, পুরুষ ভোটার- ২,৫৯,৮৪৬ জন, নারী ভোটার- ২,৫৭,৫১১ জন, হিজড়া ভোটার- ৪ জন।