স্বাস্থ্য

‘ওমিক্রন বেশি ছড়িয়ে পড়লেই ভালো’

করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ আশঙ্কাজনক হারে ছড়িয়ে পড়ছে। করোনার অন‌্য কোনো ভ‌্যারিয়েন্ট এত দ্রুত ও ব‌্যাপক হারে ছড়ায়নি। এর আগ্রাসী স্বভাবে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। 

তবে বিষয়টিকে অত‌্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অণুজীব বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল। এ বিষয়ে বিস্ফোরক মন্তব‌্য করেছেন তিনি।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে সিঙ্গাপুর থেকে তিনি বলেন, ‘ওমিক্রন সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়লেই ভালো। কারণ, ওমিক্রনের কার্যক্ষমতা অন‌্যান‌্য ভ‌্যারিয়েন্টের চেয়ে দুর্বল। মৃত‌্যুহারও কম। বরং ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীদের যে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে, তা টিকার চেয়েও বেশি কার্যকর।’

ওমিক্রনের ধরন সম্পর্কে ড. বিজন বলেন, ‘বিএডটওয়ান, বিএডটটু ও বিএডটথ্রি এই তিনটি হলো ওমিক্রনের ধরন। বিএডটওয়ানের সংক্রমণ প্রায় ৫০০ গুণ ছড়িয়ে পড়েছে। ১২০ গুণ ছড়িয়েছে বিএডটটু। আশার কথা হলো, দ্রুততম সময়ে মানুষ সংক্রমিত হলেও ওমিক্রনের রোগ সৃষ্টির ক্ষমতা তেমন নেই। যে কারণে ওমিক্রন দ্রুত ছড়ালেও তা ভয়াবহ নয়। তবে ওমিক্রনে আক্রান্তদের সর্দির সাথে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা হয়।’ 

তার ধারণা, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ওমিক্রনের সংক্রমণ সর্বোচ্চ হারে ছড়াবে। এরপর থেকে সংক্রমণ নিম্নমুখী হতে থাকবে। সেপ্টেম্বর মাসের পর শক্তি হারিয়ে আর দশটা সাধারণ রোগের মতো হয়ে পড়বে।  তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারি শেষ হওয়ার পর ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হবে। সেজন্য সবাইকে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে। করোনার বর্তমান ভ‌্যারিয়েন্টকে যথাযথভাবে মোকাবিলা করাই মূল কাজ এবং গুরুত্বপূর্ণ।’

প্রসঙ্গত, করোনার গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মারা গিয়েছেন ২৮ হাজার ৩২৯ জন। একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৮ জনের। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ১৫০ জন। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ১০ শতাংশ।