করোনার দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের নতুন উপধরনের কারণে আরও বেশি মানুষ সংক্রমিত হতে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এমতাবস্থায় সবাইকে আরও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধও জানিয়েছে অধিদপ্তরের তরফ থেকে।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
অধ্যাপক ডা. নাজমুল বলেন, করোনার নতুন যে ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন, তার একটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের ৫৭টি দেশে ইতোমধ্যে মানবদেহে শনাক্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এই সাব-ভ্যারিয়েন্টটি আগের তুলনায় বেশি মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে। আর বেশি মানুষ সংক্রমিত হলে বেশি ক্ষতির সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, করোনা রোগীর সংখ্যা কোনোভাবেই যাতে না বাড়ে, সে জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ সার্বক্ষণিক সবাইকে বাসার বাইরে বের হলে মাস্ক পরতে হবে। ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। যার যার জায়গা থেকে দায়িত্বপূর্ণ আচরণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বয়স অনুপাতে দেখলে সবচেয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ৬১ থেকে ৭০ বছর পর্যন্ত। আর বিভাগভিত্তিক মৃত্যুর হিসেবে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে ১২ হাজার ৪৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শতকরা হিসেবে যা ৪৩ দশমিক ৮০ শতাংশেরও বেশি।
হাসপাতালে প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত রোগী বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়লে, আইসিইউ, সিসিইউ, এইচডিইউ এবং অক্সিজেন সরবরাহের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। যদিও আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। ইতোমধ্যেই ১১৯টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপিত হয়েছে। ২৯ হাজারেরও বেশি অক্সিজেন সিলিন্ডার, দুই হাজারের বেশি হাইফ্লো-ন্যাজাল ক্যানোলা এবং দুই হাজার ৩০০টিরও বেশি অক্সিজেন কনসাল্ট্রেটর রোগীদের সেবায় নিয়োজিত আছে।
ডা. নাজমুল আরও বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত মোট যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, বিভিন্ন কারণে তাদের প্রায় ৭৩ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি। যত দ্রুত সম্ভব সবাইকে ভ্যাকসিন নেওয়ারও অনুরোধ জানান তিনি।