গত বছর পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়ন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্প চালু রেখেছিল উত্তর কোরিয়া। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর সাইবার হামলা চালিয়ে পাওয়া অর্থ এই খাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে। জাতিসংঘের এক গোপন প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে শনিবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
স্বাধীন নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষকদের তৈরি করা বার্ষিক এই প্রতিবেদন শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উত্তর কোরিয়া নিষেধাজ্ঞা কমিটির কাছে হস্তান্তর করেছে।
প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞরা লিখেছেন, ‘যদিও কোনো পারমাণবিক পরীক্ষা কিংবা আইসিবিএম (আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র) পরীক্ষা করা হয়নি, তারপরও উত্তর কোরিয়া উত্তর কোরিয়া তাদের পারমাণবিক ফিসাইল পদার্থের সামর্থ্য উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছে। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরিকাঠামোর রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়ন অব্যাহত ছিল এবং ডিপিআরকে সাইবার কৌশল ও যৌথ বৈজ্ঞানিক গবেষণাসহ বিদেশে এই প্রকল্পগুলোর জন্য উপাদান, প্রযুক্তি ও জ্ঞানের অনুসন্ধান করেছে।’
পর্যবেক্ষকরা বলেছেন ‘সাইবার হামলা, বিশেষ করে ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পদ চুরি উত্তর কোরিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজস্বের উৎস হিসেবে রয়ে গেছে। উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতিষ্ঠান ও বিনিময় প্রতিষ্ঠানগুলোকে টার্গেট করে চলেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘একটি সদস্য রাষ্ট্রের মতে, উত্তর কোরিয়ার সাইবার অপরাধীরা উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার অন্তত তিনটি ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ থেকে ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে পাঁচ কোটি ডলারের বেশি চুরি করেছে।’
পর্যবেক্ষকরা গত মাসে সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান চেইন্যালাইসিসের একটি প্রতিবেদনও উদ্ধৃত করেছেন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া ক্রিপ্টোকারেন্সি প্ল্যাটফর্মগুলোতে কমপক্ষে সাতটি হামলা চালিয়েছে, যার মাধ্যমে তারা গত বছর প্রায় ৪০ কোটি ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ চুরি করেছে।