ওমিক্রনের বিএ-২ ধরনে অনেক সময় করোনার লক্ষণ প্রকাশ পায় না। সংক্রমিত হয়েও অনেকে জানেন না, তারা আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে দেশে বেশির ভাগ করোনা আক্রান্ত রোগীর দেহে এই ধরনের অস্তিত্ব রয়েছে বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।
আর এই অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আসতে অন্তত দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। এরপর করোনা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা। টানা পাঁচ দিন ১০ হাজারের নিচে শনাক্ত হলেও এখনো স্বস্তির সময় আসেনি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, বর্তমানে বিশ্বময় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে। তার মধ্যে করোনার ধরন বেশ কয়েকবার রূপ বদলেছে। এর মধ্যে বিএ-১, বিএ-২ এবং বিএ-৩।
বাংলাদেশে প্রাথমিকভাবে বিএ-১ শনাক্ত হলেও বর্তমানে সংক্রমিতদের দেহে বিএ-২ ধরন বেশি পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর হোসেন।
আইইডিসিআর’র জ্যেষ্ঠ এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এর লক্ষণ সেভাবে প্রকাশ না পাওয়ায় যা অন্য যে কোনো ধরনের চেয়ে অতি সংক্রমণশীল। এই ধরন যেসব অঞ্চলে সংক্রমিত হয়েছে, সেখানে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে বেশ সময় লেগেছে। তাই দেশের বর্তমান সংক্রমণের হার কমে আসতে আরও দুই তিন সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।’
তবে সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশের নিচে নামলেও এখনই স্বস্তির সময় আসেনি বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘শনাক্ত কমলেও পরিস্থিতি স্বস্তিদায়ক নয়। লক্ষ্য করা গেছে, দেশে গত কয়েক দিন পরীক্ষা করার সংখ্যাও কমে গেছে। যেটা কোনোভাবে কাম্য নয়।’
এম আর খান শিশু হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. ফরহাদ মনজুর বলেন, ‘প্রতিদিনই মিউটেশন হওয়া এই ভাইরাস আবারও নতুন রূপে ফিরতে পারে। সেটা যে কোনো সময় ঘটতে পারে। তাই সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সার্বক্ষণিক মাস্ক পরা এবং টিকা নেওয়ার বিকল্প নেই।’