জাতীয়

‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’কে জাতীয় স্লোগান করার দাবি সাংসদ ইকবাল অপুর

মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে যে স্লোগান, সেই ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’কে জাতীয় স্লোগান করার দাবি জানিয়েছেন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. ইকবাল হোসেন অপু।

সম্প্রতি হাইকোর্টের আদেশ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান হিসেবে চূড়ান্ত রূপ পেয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “সাংবিধানিক পদাধিকারীগণ, দেশে ও দেশের বাইরে কর্মরত সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থার কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ সকল জাতীয় দিবস উদযাপন এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় ও সরকারি অনুষ্ঠানে বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণ করিবেন।’’

‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন‌্যবাদ জানিয়ে এক সাক্ষাৎকারে রাইজিংবিডি'কে এই সংসদ সদস‌্য বলেন, ‘যদি জয় বাংলার সাথে জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানকে জাতীয় স্লোগান করা হতো তাহলে আরও ভাল হতো। কারণ, ১৯৭১ সালে এদেশের মুক্তিযোদ্ধারা জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়ে মহান স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছেন এবং আজ এই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। সুতরাং আমি মনে করি, পাকিস্তানিদের বিপক্ষে অস্ত্রের চেয়েও অনেক শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেছে এই জয় বাংলা জয়, বঙ্গবন্ধু স্লোগান।’

তিনি বলেন, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু এক ও অভিন্ন। যেমন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু; একটি ছাড়া আর একটি অসম্পূর্ণ। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু-এটাই বাংলাদেশের সকল মানুষের স্লোগান হওয়া উচিত।’

অপু বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্যে দিয়ে এই বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন—এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। এই দিনেই সেখানে উপস্থিত লাখো বাঙ্গালি এক সাথে স্লোগান দিয়েছিল- মুজিব ভাইয়ের পথ ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো, বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো। আমার দেশ, তোমার দেশ— বাংলাদেশ, বাংলাদেশ। তাই আমি মনে করি, শেখ মুজিব তথা বঙ্গবন্ধু’কেও জয় বাংলা স্লোগানের সাথে যোগ করে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’কে জাতীয় স্লোগান করা উচিত।’’

আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্রীয় নেতা আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল এই দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার। কিন্তু তিনি তার সেই স্বপ্ন পুরোপুরি বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন এ দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর, সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন করছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’