রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে ‘প্রধানমন্ত্রীর নামে মিথ্যা বক্তব্য’ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর দায়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর রোববার (৪ এপ্রিল) ওই শিক্ষকদের সাময়িক বরখাস্ত করে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ালে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আমিনুল ইসলাম বলেছেন, ‘প্রাথমিকের শিক্ষকদের গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আমরা যদি অধিদপ্তর থেকে শিক্ষকদের মনিটর করতে পারি, তাহলে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা শিক্ষকদের মনিটর করতে পারবেন না কেন? যদি কেউ ব্যর্থ হন, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা মিটিং করে কর্মকর্তাদের জানিয়ে দিয়েছি।’
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কোডিড-১৯ পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম ২০ রমজান পর্যন্ত চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গত ২৪ মার্চ এ সংক্রান্ত অফিস আদেশে জারি করে।
রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস করানোর বিরোধিতা করে কিছু শিক্ষক ফেসবুকে পোস্ট দেন। একপর্যায়ে গুজব ছড়ায় ফেসবুকে। জানা গেছে, দিনাজপুর সদর উপজেলার গৌরীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল লতিফ গত ২৯ মার্চ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘হাজার স্যালুট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। অবশেষে প্রথম রোজা থেকেই দেশের সকল ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিলেন দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’।
অন্যদিকে মানিকগঞ্জ সদরের বান্দুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শিল্পা রানী সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন যে, ‘অবশেষে প্রথম রোজা থেকেই সকল ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
ফেসবুকে এ পোস্টের কারণে দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া, আরেকজন প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।