খেলাধুলা

মুশফিক-ইয়াসিরের প্রতিরোধে দিন শেষ, ৩১৪ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ  

১২২ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মুশফিকুর রহিম-ইয়াসির আলী প্রতিরোধ গড়েন। দিন শেষ বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৩৯। মুশফিক ৩০ ও ইয়াসির ৮ রানে অপরাজিত আছেন। বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে আছে ৩১৪ রানে। 

বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল নড়বড়ে। প্রথম ওভারে শূন্য রানে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়। এরপর খেলার হাল ধরেন তামিম ইকবাল-নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনের ব্যাটে পাওয়া যাচ্ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর সুবাস। কিন্তু পরপর দুই ওভারে তামিম-শান্তকে ফিরিয়ে আঘাত হানেন মুল্ডার। তামিম ৪৭ ও শান্ত ৩৩ রান করেন। সেই ধাক্কা সামলেও ওঠার আগেই ফেরেন মুমিনুল-লিটন। বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর খেলার হাল ধরেন মুশফিক-ইয়াসির। দুজনে বিপদ ছাড়াই দিন শেষ করে আসেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে একাই ৪ উইকেট নিয়েছেন মুল্ডার। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৫৩/১০ (১৩৬.২ ওভার)

বাংলাদেশ: ১৩৯/৫ (৪১ ওভার) 

এবার আউট লিটন, বিপদে বাংলাদেশ 

এবার মুল্ডারের শিকার লিটন দাস। বিপদে বাংলাদেশ। লেন্থ বল সোজাসুজি ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন লিটন দাস। কিন্তু ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক হয়নি। সরাসরি বল আঘাত করে স্ট্যাম্পে। ২ চারে ১৪ বলে ১১ রান করেন লিটন। ১২২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী ইয়াসির আলী। 

দলের বিপদে হাল ধরতে পারেননি মুমিনুল

এবার মুল্ডারের শিকার মুমিনুল হক। বিপদে হাল ধরতে পারলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। লাইনের বাইরে গিয়ে খেলতে যেয়ে ধরা পড়েন মুমিনুল। মুল্ডারের বল লাগে পায়ে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেওয়ার চেষ্টা করেননি। ১ চারে ২৪ বলে ৬ রান করেন তিনি। ক্রিজে মুশফিকের সঙ্গী লিটন দাস। বাংলাদেশের ৪ উইকেটের মধ্যে ৩টিই নিয়েছেন মুল্ডার।

তামিমের পর শান্তর বিদায়

তামিমের পর নাজমুল হোসেন শান্তর বিদায়। তামিমকে ফেরানো পর শান্তকেও ফেরালেন মুডালার। তার আউটসাইড অফের বল লাগে শান্তর পায়ে। শান্ত ফ্লিক করতে যেয়ে বল মিস করেন। আম্পায়ার প্রথমে আউট দেননি। রিভিউ নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। বল স্ট্যাম্পে যাওয়াতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে বাধ্য হন আম্পায়ার। ৬ চারে ৭৪ বলে ৩৩ রান করেন শান্ত। তামিমের সঙ্গে জুটি গড়ে খেলছিলেন দারুণ। তামিম ফেরার ১ ওভার পর তিনিও ফেরেন সাজঘরে। ক্রিজে নতুন দুই ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক-মুশফিকুর রহিম। ডারবান টেস্টে ব্যর্থ এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ। 

৪৭ রানে আউট দারুণ খেলতে থাকা তামিম

একুশতম ওভারের পঞ্চম বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তামিম ইকবাল। রিভিউ নেবেন কী না এ বিষয়ে শান্তর সঙ্গে একটু কথা বলেছেন, এরপরেই নিজেই হাঁটা ধরেন ড্রেসিংরুমের দিকে। জয় প্রথম ওভারে ফেরার পর শান্তকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন তামিম। কিন্তু নিজে ফিফটির কাছে এসে ধরা পড়েন। ৫৭ বলে ৪৭ রান করেন ৮ চারের মারে। তার আউটে ভেঙে যায় ৭৯ রানের জুটি। 

তামিম-শান্তর জুটিতে বাংলাদেশের প্রতিরোধ

শূন্য রানে মাহমুদুল হাসান জয় ফেরার পর খেলার হাল ধরেন তামিম ইকবাল-নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরু থেকে তামিম দারুণ সব শটে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে চাপ কমানোর চেষ্টা করেন। অন্য প্রান্তে থাকা শান্তও দারুণভাবে সঙ্গ দেন তামিমকে। দুজনের যুগলবন্দী লড়াইয়ে বাংলাদেশ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ১৩ ওভারে দলীয় পঞ্চাশ পূর্ণ করে। দুজনের জুটি ইতিমধ্যে পঞ্চাশ পেরিয়ে গেছে।  

প্রথম ওভারে শূন্য রানে ফিরলেন জয়

ইনিংসের প্রথম ওভারেই শূন্য রানে ফিরলেন মাহমুদুল হাসান জয়।  অলিভিয়ের লেন্থ বলে পরাস্ত হন তিনি। পুশ করতে যেয়ে খোঁচা দিয়ে বসেন। প্রথম স্লিপে সহজে ক্যাচ ধরেন আরউই। প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করা জয় ২ বল খেলে ফেরেন খালি হাতেই। বাংলাদেশেরও ভালো শুরু হলো না। ক্রিজে তামিম ইকবালের সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্ত। 

দ. আফ্রিকার রানের পাহাড়, তাইজুলের দেড়শ 

প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৫৩ রানে অলআউট হয়েছে। প্রথম দিন তিন সেশন ও আজ দ্বিতীয় দিন দেড় সেশন ব্যাটিং করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন কেশব মহারাজ। কম সময়ে তিনি দ্রুত রান নিয়েছেন। এ ছাড়া ৭০ রান করেন এলগার, ৬৪ রান করেন পিটারসেন। ভুগিয়েছেন লেজের ব্যাটসম্যানরাও।অষ্টম ও নবম উইকেটের জুটিতে দলটি যোগ করে ৭৩ রান। বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল একাই নিয়েছেন ৬ উইকেট। এর মাধ্যমে তিনি টেস্ট ক্রিকেটে দেড়শ উইকেটের মাইলফলকে নাম লেখান। এ ছাড়া খালেদ আহমেদ ৩ ও মিরাজ নেন ১ উইকেট। 

হার্মারকে ফিরিয়ে তাইজুলের দেড়শ

তাইজুলের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়েছেন সিমন হার্মার। অবশ্য অবদান কম নয় লিটন দাসের। দ্রুত স্ট্যাম্পিং করেছেন তিনি। ৫৯ বলে ২৯ রান করেন হার্মার।  এই ইনিংসে তাইজুলের এটি ষষ্ঠ উইকেট। এর মাধ্যমে তিনি টেস্ট ক্রিকেটে দেড়শ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। 

হার্মার-উইলিয়ামস জুটিতে দ. আফ্রিকার ৪৫০

ডারবানের মতো পোর্ট এলিজাবেথেও লেজের ব্যাটসম্যানরা ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। মহারাজ আউটের পর জুটি গড়েছেন সিমন হার্মার-উইলিয়ামস। দুজনে ইতিমধ্যে ৬৯ বলে ৩৫ রান যোগ করেন। ১৩৪ ওভারে দলীয় সংগ্রহ ৪৫০ রান পূর্ণ করেন দুজনে। 

মহারাজকে ফিরিয়ে তাইজুলের ফাইফার

অবশেষে মহারাজকে থামালেন তাইজুল ইসলাম। ভেরিয়েন্নের আউটের পর ক্রিজে এসে দ্রুতগতিতে ব্যাটিং কর‍তে থাকেন। মাত্র ৫০ বলে ফিফটির পর সেঞ্চুরির পথে। অবশেষে তাকে থামালেন শতকের আগেই। সুইপ করতে চেয়েছিলেন মহারাজ। কিন্তু বল ব্যাট ফাঁকি দিয়ে ভেঙে দেয় উইকেট। ৯৫ বলে ৯ চার ৩ ছয়ে ৮৪ রান করেন মহারাজ। তাকে ফিরিয়ে ৫ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব অর্জন করলেন তাইজুল।  

জীবন পেয়েই মহারাজের চার, দ. আফ্রিকার ৪০০

লাঞ্চ থেকে ফেরার পর ইবাদতের বলে জীবন পান মহারাজ। ব্যাটে লেগে ওয়াইড স্লিপে ক্যাচ উঠেছিল, একটু ঝাঁপিয়ে চেষ্টাও করেছিলেন ইয়াসির আলী। তবে নাগালা না পাওয়ায় তালুবন্দি করতে পারেননি। চার হয়ে যায়। পরের বলেই আবার চার হাঁকান মহারাজ। এরপর এক বল ডট দিয়ে সিঙ্গেল নেন তিনি। ১১৮.৪ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছে যায় ৪০০ রানে। 

প্রথম সেশনে দক্ষিণ আফ্রিকার রাজত্ব

বাংলাদেশ ২ উইকেট নিলেও প্রথম সেশনে রাজত্ব করেছে স্বাগতিক দল। মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে তারা ১০৬ রান করে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান ভেরিয়েন্নে শুরুর দিকে ফিরলেও মুল্ডার ফেরেন শেষের দিকে। মুল্ডার-মহারাজ জুটি থেকে ১০০ বলে ৮০ রান আসে। ক্রিজে এসেই দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করে সফল হন মহারাজ। ফিফটি করে তিনি ক্রিজে আছেন। তার সঙ্গে আছেন সিমন হার্মার। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩৮৪। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রানও বাড়ছে তাদের। 

অবশেষে জুটি ভাঙলেন তাইজুল

মুল্ডারকে বোল্ড করে জুটি ভেঙেছেন তাইজুল ইসলাম। ৭৭ বলে ৩৩ রান করেন তিনি।  ভেরিয়েন্নের সঙ্গে ০ রানে অপরাজিত থেকে দিন শুরু করেছিলেন। ভেরিয়েন্নে ফিরলেও মুল্ডার ছিলেন অবিচল। নতুন ব্যাটসম্যান কেশব মহারাজকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন এক প্রান্ত থেকে। মাত্র ১০০ বলে দুজনের জুটি থেকে আসে ৮০ রান। অবশেষে মুল্ডারকে আউট করে সেই জুটিকে আর এগোতে দেননি তাইজুল। 

মহারাজের ফিফটি, বড় রানের পথে স্বাগতিকরা 

মিরাজকে লং অনে চার মেরে ৫০ বলে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান কেশব মহারাজ। ব্যাটিংয়ে এসে শুরু থেকেই তিনি দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় আছেন। তাতে সফল এই অলরাউন্ডার। দ্রুত তুলে নেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি। তার সঙ্গে ক্রিজে আছেন মুল্ডার। যদিও তিনি ধীরে ধীরে খেলার চেষ্টা করছেন। দুজনের ব্যাটে ভর করে বড় রানের দিকে ছুটছে দক্ষিণ আফ্রিকা। 

মহারাজের ক্যামিওতে দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৫০

ভেরিয়ন্নে আউট হলেও সেটি টের পেতেই দেননি নতুন ব্যাটসম্যান কেশব মহারাজ। একশর বেশি স্ট্রাইকরেটে খেলছেন তিনি। ছয়-মেরে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দলীয় সংগ্রহ এক লাফেই নিয়ে যান সাড়ে তিনশতে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩ চার ও ২ ছয়ে ৩৬ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন মহারাজ। তার সঙ্গে ৬৩ বলে ২৩ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন ভিয়ান মুল্ডার। 

খালেদের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড ভেরিয়েন্নে 

কাইল ভেরিয়েন্নেকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠালেন খালেদ আহমেদ।  একটু আগেই উত্তেজনা ছড়িয়েছেল খালেদ-ভেরিয়েন্নের ব্যক্তিগত দ্বৈরথ। তাতে জিতলেন খালেদই। ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন ভেরিয়েন্নে, কিন্তু বল ব্যাট-প্যাড সব মিস করে ভেঙে দেয় উইকেট। গর্জে ওঠেন খালেদ। ৪৮ বলে ২২ রান আসে ভেরিয়েন্নের ব্যাট থেকে। 

বিপদ ছাড়াই দক্ষিণ আফ্রিকার ৩০০ 

তিনশ থেকে ২২ রান দূরে থেকে দিন শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। কোনো ধরনের বিপদ ছাড়াই দলটি তিনশ স্পর্শ করে। ৯৬.২ ওভারে খালেদকে চার মেরে ভেরিয়েন্নে দলীয় স্কোর তিনশ পার করেন। 

খালেদ -ভেরিয়েন্নের দ্বৈরথ

খালেদ আহমেদ-কাইল ভেরিয়েন্নের মধ্যে দ্বৈরথ। বল ডিফেন্স করে রান না নেওয়ার চেষ্টা করে দাঁড়িয়েছিলেন ভেরিয়েন্নে। তবুও বল ছুঁড়ে মারেন খালেদ। গ্লাভসে লাগে ভেরিয়েন্নের। একটু উত্তেজনা ছড়ায় তখন। খালেদ দুঃখ প্রকাশ করলেও ভেরিয়েন্নে মানতে নারাজ। ইয়াসির আলী এসে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এরপর আম্পায়ারকে দেখা যায় মুমিনুল হকের সঙ্গে কথা বলতে। 

রিভিউ হারিয়ে বাংলাদেশের দিন শুরু 

দিনের শুরুতেই ভুল!খালেদকে দিয়ে বাংলাদেশ শুরু কর। ভালোভাবেই শুরু করেন খালেদ। ওভারের শেষ বল পায়ে লাগে ভেরিয়েন্নের। হাঁটুর একটু উপরে লাগলেও বল লেগ স্ট্যাম্প মিস করে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। কিন্তু খালেদের সায় পেয়ে রিভিউ নেন মুমিনুল। কিন্তু বল বাইরে যাওয়াতে বাংলাদেশের পক্ষে আসেনি। গতকাল দিনের শুরুতে নিশ্চিত রিভিউ না নিয়ে ভুল করেছিল, আর আজ নিয়ে। 

প্রোটিয়াদের দ্রুত অলআউটের লক্ষ্যে মাঠে বাংলাদেশ 

পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের দ্বিতীয় দিন শনিবার (৯ এপ্রিল) মাঠে নেমছে দক্ষিণ আফ্রিকা-বাংলাদেশ। হাতে ৫ উইকেট ও স্কোরবোর্ডে ২৭৮ রান নিয়ে দিন শুরু করেছে প্রোটিয়ারা। ভেরিয়েন্নে ১০ ও মুডলার ০ রানে শুরু করেন। বাংলাদেশের লক্ষ্য একটাই, স্বাগতিকদের দ্রুত অলআউট করে কম রানে আটকে দেওয়া। 

আফসোস তাইজুলের 

পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের প্রথম দিন দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়তে দেয়নি বাংলাদেশ। ৫ উইকেট নিয়ে বোলিংয়ে বাংলাদেশ শক্তিশালী ও সুগঠিত। তবে স্কোরবোর্ডে ২৭৮ রান উঠায় খুশি নন ৩ উইকেট নিয়ে দিনের সেরা বোলার তাইজুল ইসলাম। একাদশে ফেরা এই স্পিনার মনে করেন, রান একটু বেশি হয়ে গেছে। স্বাগতিকদের আরেকটু চাপে রাখতে পারলে আরো ২-৩ উইকেট পেতে পারত বাংলাদেশ। 

ম্যাচ শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে তাইজুল বলেছেন, ‘আমরা যদি আরও একটু কমে (রান) তাদেরকে রাখতে পারতাম…হয়তো বা তাদের আরও একটু চাপটা বেশি হতো। চাপটা যদি বেশি হতো তাহলে হয়তোবা দুই-একটা উইকেট পড়ার সুযোগ ছিল। আমার মনে হয় একটু বেশি রান হয়ে গেছে। সামান্য একটু।’ 

প্রথম দিনে সমানে-সমান 

পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের প্রথম দিন শেষে দুই দল সমানে-সমান রয়েছে। শেষ সেশনে তাইজুল-খালেদের কল্যাণে লড়াইয়ে ফেরে সফরকারীরা। দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৭৮ রান। ক্রিজে আছেন ভেরিয়েন্নে-মুডলার। পোর্ট এলিজাবেথের এই মাঠে প্রথম দিনের গড় স্কোর ৮ উইকেটে ২৭৪ রান।

বাংলাদেশের হয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। আর ২ উইকেট নেন খালেদ আহমেদ। বৃষ্টির কারণে মাঝে ২৫ মিনিট খেলা না হলেও পুষিয়ে নেয় দিনের খেলা। পুরো ৯০ ওভারই খেলা হয়। নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট বেশি খেলা হয়।