আন্তর্জাতিক

দেশ বাঁচাতে চাইলে বিক্ষোভ থামান: শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

অর্থনৈতিক সঙ্কটে ধুঁকতে থাকা শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে দেশবাসীকে বিক্ষোভ থামানোর আহ্বান জানিয়েছেন।  তিনি বলেছেন, দেশকে অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে বের করে আনতে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তার সরকার।

সোমবার (১১ এপ্রিল) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এই আহ্বান জানান। 

টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে মাহিন্দা রাজাপাকসে বলেন, ‌আপনারা রাস্তায় বিক্ষোভ করবেন, এতে আমাদের পক্ষে ডলার সংস্থানের পথ ততোটাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। '

গোটাবায়া রাজাপাকসের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা মাহিন্দা বিক্ষোভরত দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‌আপনার যে সংস্কারের দাবি করছেন, তা করা এখন প্রথম কাজ নয়। প্রথম কাজটি হল এই সঙ্কট সামাল দেওয়া।  মহামারীর পরপরই এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি আমরা।'

তিনি আরো বলেন, ‌অর্থনীতিতে বাঁজে প্রভাব পড়বে, এটি জানার পরও আমরা দেশবাসীকে করোনার প্রকোপ থেকে বাঁচাতে লকডাউন দিয়েছিলাম।  আর সেই কারণেই আমাদের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে পতন ঘটেছে।'

চলমান সঙ্কট এক-দুই দিনে সমাধান হবে না উল্লেখ করে দেশবাসীকে ধৈর্য ধরার আহ্বানও জানান শ্রীলঙ্কার এই প্রধানমন্ত্রী।

যে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ৪ হাজার ডলারের বেশি, যে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি টানা কয়েক বছর ৬ শতাংশে ছিল, সেই শ্রীলঙ্কা এখন চুপসে গেছে।

শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান উৎস পর্যটন।  এছাড়া করোনা মহামারীর কারণে রেমিটেন্সে ধস নেমেছে দেশটিতে।  একই সঙ্গে ইউক্রেইন যুদ্ধে শুরু হলে বিদেশি মুদ্রার তীব্র সঙ্কটে দেখা দেয় ভারত মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে।

আমদনি ব্যয় মেটানোর ডলার না থাকার দেশটি পড়ে জ্বালানি সঙ্কটে, তাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। কাগজের অভাবে বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা নেওয়া।

দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী হওয়ায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ চলছে দেশটিতে।

গণঅসন্তোষের মধ্যে শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাসীন জোটেও ভাঙন দেখা দিয়েছে, আর তাতে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের নেতৃত্বাধীন জোট।

সূত্র: টাইমস