পোর্ট এলিজাবেথ টেস্ট একদিন আগে শেষ হওয়ায় একসঙ্গে দেশে ফিরতে পারছেন না জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। তিন ভাগে ভাগ হয়ে তারা দেশে ফিরছেন। প্রথম ভাগে আজ অধিনায়ক মুমিনুলের সঙ্গে পাঁচ ক্রিকেটার ঢাকায় পা রেখেছেন।
দেশে ফিরে টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল জানিয়েছেন, সাদা পোশাকে বাংলাদেশ দলের উন্নতির এখনও অনেক বাকি। ওয়ানডের মতো টেস্টেও ভারসাম্যপূর্ণ দল বানাতে হবে। তাতে আসবে ধারাবাহিক সাফল্য।
মুমিনুল বলেছেন, ‘আমাদের ওয়ানডে সিরিজ তো প্রত্যাশা অনুযায়ী ছিল। টেস্টে উন্নতির কথা যদি বলেন, আগামী দুই বছর বা সারাজীবনই খেলি উন্নতির শেষ নাই। টেস্ট ক্রিকেট ওয়ানডের মতো না। পাঁচ দিনের খেলায় সব বিভাগেই ভালো খেলা গুরুত্বপূর্ণ। ভালো জায়গায় বল করা, সেশন অনুযায়ী ও পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করা। আমি সবসময় বলি টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের আরো উন্নতি করতে হবে।‘
ডারবান ও পোর্ট এলিজাবেথে বাংলাদেশ অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে। নিজেদের পরিকল্পনা বাংলাদেশ ২২ গজে একটুও কাজে লাগাতে পারেনি। স্পিনে বাংলাদেশ বরাবরই ভালো খেলে। কিন্তু প্রোটিয়া স্পিনার কেশব মহারাজের স্পিন বিষে নীল হয়েছেন মুমিনুল, মুশফিক, তামিম, লিটনরা। নিজেদের শক্তির জায়গায় আঘাত করে প্রতিপক্ষ এভাবে ম্যাচ বের করে নেবে তা কল্পনাও করতে পারেননি অনেকে।
যেভাবে বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছে তাতে টেস্ট খেলার মতো মানসিকতা আছে কি না তা নিয়ে আরেকবার প্রশ্ন উঠছে। তবে মুমিনুলের চোখে বিপজ্জনক কিছু ধরা পড়ছে না, ‘এরকমটা কিন্তু অনেকবারই হয়েছে। বাংলাদেশেও কিন্তু হয়েছে। আপনাদের হয়তো প্রত্যাশা বেশি ছিল। অনেকেই মনে করছেন একটা টেস্ট জিতে আমরা হয়তো বিশ্বের এক বা দুই নম্বর দল হয়ে গেছি। ওয়ানডেতে তো আমরা অনেক স্থিতিশীল টিম, টেস্টে না। সেটাও আমাদের বুঝতে হবে। নড়বড়ের কিছুই হয়নি।’
অধিনায়ক মুমিনুল দল পরিচালনা করতে পারছেন না। সঙ্গে নিজের ফর্মও বাজে। চার ইনিংসে মুমিনুলের রান মাত্র ১৩। মুমিনুল কি চাপে আছেন? এমন প্রশ্ন রীতিমতো উড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘রুট কিন্তু গত এক বছরে ৬-৭টা সেঞ্চুরি করেছে। তারপরও তার ওপর চাপ আছে। অধিনায়কত্ব এমন একটা জিনিস যেখানে আপনি পারফর্ম না করলে চাপ আসবেই। আর এই লেভেলে অধিনায়কত্ব করলে চাপ নিতে হবে। এসব নিয়ে আমি চিন্তিত না। চাপ আসা মানে আপনার বিকাশ হওয়া, যেটা আমি বিশ্বাস করি। আপনি যত চাপ নিবেন, আপনার খেলা তত উন্নতি হবে।’
খারাপ সময় থেকে বেরিয়ে আসার পথ তার জানা আছে বলে দাবিও করলেন, ‘এমন তো না যে এমন পরিস্থিতিতে আমরা প্রথম পড়েছি। আমরা আগেও এই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়েছি, বেরিয়েও এসেছি। আমরা জানি এখান থেকে কীভাবে বের হতে হবে। আমি যদি এখন থেকে নেগেটিভ চিন্তা করি তাহলে নিজের কাছে মনে হবে ভীতু। আমি নিশ্চয়ই ভীতু নই। আমি যেমন ছিলাম, তেমনই আছি। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যে ভুলটা করেছি, এই ভুলটা যেন সামনের সিরিজে না করি। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’