সারা বাংলা

চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ মেডিক্যাল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন, মানসিক নির্যাতন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপুর্ণ বার্তা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও হোষ্টেল সুপারভাইজার চিকিৎসক কাজী রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ঢাকা) পরিচালক, সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ মেডিক্যাল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের মেডিক্যাল অফিসার ডা. কাজী রফিকুল আলম দীর্ঘদিন ধরে হোষ্টেলের শিক্ষার্থীদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার ভয় দেখিয়ে আসছিলেন। তিনি ক্লাসে ছাত্রীদের শরীরে স্পর্শ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল বার্তা প্রদান করছিলেন। তার দেওয়া কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাবে রাজি না হলে মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। এসব বিষয়ে একাধিকবার প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে অবগত করা হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। 

চিকিৎসক রফিকুল ইসলামের এসব কুকর্মের কারণে অনেক শিক্ষার্থী পড়ালেখা বাদ দিয়ে হোষ্টেল ছেড়ে চলে গেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর পিতা ইমরান হোসেন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ দাখিলের পরে আমাদের মেডিক্যাল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তারা আমাদের কোনো কথা শোনেনি ।’ 

অভিযুক্ত চিকিৎসক রফিকুল আলম নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার মান সম্মান নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজগঞ্জ মেডিক্যাল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের অধ্যক্ষ ডাক্তার আকিকুন নাহার বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের আলোকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে।’

সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. রামপদ রায় বলেন, ‘একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’