জাতীয়

‘বৈশাখী উৎসব বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির গৌরবময় উত্তরাধিকার’

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, ‘বৈশাখী উৎসব বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির গৌরবময় উত্তরাধিকার। একে ঘিরে জাতি-ধর্ম-বর্ণ কিংবা ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকল মানুষের মধ্যে এক ধরনের সম্মিলন ও ঐক্য গড়ে ওঠে।’

বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এবং বাংলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে ‘বৈশাখী মেলা-১৪২৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১৫ দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিকের চেয়ারম্যান মুহ. মাহবুবর রহমান।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশাখী মেলা আবহমান বাংলার চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। হাজার বছর ধরে গ্রাম-গঞ্জে এর আয়োজন হলেও ইদানিং শহর-নগরেও এ মেলার আয়োজন দেখা যায়। বাংলা একাডেমি চত্ত্বরে আয়োজিত আজকের এই বৈশাখী মেলা এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি নগরবাসীকে ক্ষণিকের জন্য হলেও অনাবিল আনন্দ উপভোগের সুযোগ করে দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প পণ্যের বিপণন ও প্রদর্শনের সাথে আছে মেলার নিবিড় সম্পর্ক। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প পণ্যের ক্রয়-বিক্রয়ের স্থান হিসেবে মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু উৎপাদিত পণ্যের ক্রয়-বিক্রয়ই হয় না, নতুন নতুন নকশা, নমুনা, উৎস, দর ইত্যাদির সাথে ক্রেতা-বিক্রেতা ও উৎপাদকের পরিচয় ঘটে। তাই, পণ্যের বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের অন্যতম মাধ্যম হলো মেলা।’

মেলার ১০০টি স্টলে বিসিক থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উদ্যোক্তাদের তৈরি হস্ত ও কুটির শিল্পজাত বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী স্থান পেয়েছে।

মেলা থেকে ক্রেতারা কারুপণ্য, নকশিকাঁথা, পাটপণ্য, বুটিকস পণ্য, জুয়েলারি, লেদার গুডস, অর্গানিক ফুডস, ইলেকট্রনিকস পণ্য, মধুসহ নিত্য ব্যবহার্য বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী ক্রয় করতে পারবেন।

মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।