দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। নিজের ফেইসবুক আইডি থেকে সেটা লাইভ করছিলেন কাছ থেকেই। হঠাৎ-ই ভয়াবহ বিস্ফোরণ। আশপাশের সবকিছু অন্ধকার হয়ে যায়। ফেইসবুকে লাইভে শব্দ শুনে এর ভয়াবহতা উপলব্ধি করা যাচ্ছিলো। মুহূর্তই যেন আগুন সবকিছু ছারখার করে দিয়েছে। ডিপোর আশপাশের সবকিছু হয়ে গেছে মৃত্যুপুরী।
এই বিস্ফোরণের পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন বিস্ফোরণের সময় লাইভে থাকা মৌলভীবাজারের অলিউর রহমান।
রাইজিংবিডির চট্টগ্রামের প্রতিবেদক জানান, রাত ২টার দিকে ফেসবুক লাইভকারী তরুণ ওয়ালিউর (অলিউর) রহমানের লাশ আসে চট্টগ্রামের পার্কভিউ হাসপাতালে।
আবসার উদ্দিন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী রাইজিংবিডিকে জানান, রাত ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ ৩০ জনকে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে ১৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। একজনকে আনা হয় মৃত অবস্থায়। তিনি লাইভ ভিডিওকারী ওয়ালিউর (অলিউর) রহমান।
নিখোঁজ অলিউর রহমান মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ফটিগুলী গ্ৰামের আশিক মিয়ার ছেলে। সে সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে শ্রমিকের কাজ করতো।
এদিকে অলিউর রহমানের সহকর্মী রুয়েল বলেন, আমরা এই সময়টাতে খাবারের জন্য ডিপো থেকে চলে আসি। কিন্তু ফেসবুকে লাইভ করার জন্য অলিউর সেখানে রয়ে যায়। তার লাইভ ভিডিও দেখলেই বুঝতে পারবেন।
রুয়েল বর্ণনা দিয়ে বলেন, খুবই ভয়াবহ অবস্থা। ডিপোর ভিতরে থাকা কেউ বেঁচে থাকার কথা নয়। আর ওয়ালিউর বেঁচে থাকলে আমার কাছেই আসতো। আমরা একসাথে কাজ করি। এক জায়গায় থাকি।
তিনি আরো জানান, বিস্ফোরণের সময়টা রাতের খাবারের সময় ছিলো। নয়তো আরো অনেক অনেক লোক মারা যেতেন।