সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোয় ভয়াবহ বিস্ফোরণে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৫ জন রয়েছেন। রোববার (৫ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক নুরুল আলম আশেক।
বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক মানুষ। শনিবার রাতে আগুন লাগার পর রাত পৌনে ১১টার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
সীতাকুণ্ডের এসব কনটেইনার ডিপোয় ছিলো হাইড্রোজেন পারক্সাইড। এটি একটি রাসায়নিক যৌগ যার সংকেত H2O2। বিশুদ্ধ অবস্থায় এটি বর্ণহীন তরল, জলের থেকে এর সান্দ্রতা সামান্য বেশি। নিরাপত্তাজনিত কারণে সব সময় এটার জলীয় দ্রবণ ব্যবহার করা হয়। H2O2 সব থেকে সরল পারক্সাইড (যে যৌগে অক্সিজেন-অক্সিজেন একক বন্ধন থাকে) এবং এটা শক্তিশালী জারক ও বিরঞ্জক। গাঢ় H2O2 রকেটের জ্বালানিতে প্রোপেল্যান্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
হাইড্রোজেন-পার-অক্সাইড সংক্রমণনাশক। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের বিরুদ্ধে কাজ করে। ১৯২০ সাল থেকে এটি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। হাইড্রোজেন-পার-অক্সাইডে অতিরিক্ত একটি অক্সিজেন থাকে।
আলেকজান্ডার ভন হাম্বোল্ট বাতাসের পচে যাওয়ার তার প্রচেষ্টার উপ-পণ্য হিসাবে ১৭৯৯ সালে প্রথম কৃত্রিম পারক্সাইড, বেরিয়াম পেরক্সাইডের মধ্যে একটি সংশ্লেষিত করেছিলেন।
উনিশ বছর পরে লুই জ্যাক থনার্ড স্বীকৃতি দিয়েছিলেন যে এই যৌগটি পূর্বে অজানা যৌগ তৈরির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, যা তিনি ইও অক্সিজিনি (ফরাসি: অক্সিজেনযুক্ত জল) হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন- পরবর্তীকালে হাইড্রোজেন পারক্সাইড হিসাবে পরিচিত।
সূত্র: ইন্টারনেট